
এনএনবি, গাজীপুর
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি ও সুদৃঢ় ঐক্য, ইহকালের শান্তি, ও পরকালের মাগফিরাত কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে মহামহিমা ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে অপার করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসসল্লিরা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত শরু হয়ে শেষ হয় ৯টা ২১ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মাওলানা রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের।
মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের বলেন, হে আল্লাহ আমাদের ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেন। হে আল্লাহ তুমি তো ক্ষমাশীল, তোমার কাছেই তো আমরা ক্ষমা চাইবো। দ্বীনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দাও। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাও। আমরা যেন তোমার সন্তুষ্টি মাফিক চলতে পারি সে তওফিক দাও। দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে আমাদের হেফাজত করো। গোপন গুনাহ, প্রকাশ্য গুনাহ সব গুনাহ মাপ করে দেন। নবীওয়ালা জিন্দেগি আমাদের নসিব করুন।
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহমাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসল্লি আকুতি জানান।
এদিন ভোর থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে সকাল ৯টায়। ২১ মিনিটের মোনাজাতে বিশাল এ জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। কান্নায় বুক ভাসান তারা। প্রথম ৮ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। পরে ১৫ মিনিট বাংলা ভাষায় মেনাজাত করেন। মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিস কার্যত ছিল বন্ধ।
চারদিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
নারীরা ইজতেমা ময়দানের পাশে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল মাঠ, ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশে কামারপাড়া ও আশপাশের খোলা ময়দানে অবস্থান নেন। আখেরি মোনাজাতের ফজিলত লাভের আশায় তারা মোনাজাতে শরিক হতেই ময়দানের আশপাশের এলাকায় পর্দার সঙ্গে অবস্থান নেন।
এ ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন ফিরোজ (৫০), জহিরুল ইসলাম (৫২), জিসান (২২), জাহিদ হাসান (৩৫), ইকবাল হোসেন (৫৫), নজরুল ইসলাম (৫০), আনিসুর রহমান ৪২), বোরহান উদ্দিন (৫০) ও বাছির উদ্দিন (৫৫)।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। ওসি বলেন, রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে অটোরিকশাযোগে ওই দুই মুসল্লি ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ময়দানের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে অন্তত ১১ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহত দুজনের নাম-পরিচয় বা তাঁদের আত্মীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’ পুলিশ গিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেছে বলে তিনি জানান।
এরমধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৯ জন, ময়দানে আসার পথে পাঁচজন ও দায়িত্ব পালনকালে একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৫জন মারা গেলেন। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদগুলো নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫), নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আবদুল জব্বার(৫৫)। আরেক জনের পরিচয় জানা যায়নি।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান, শেরপুরের আমেলা খাতুন(৬০), ঢাকার মিরপুর সাড়ে এগারর বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি ও সুদৃঢ় ঐক্য, ইহকালের শান্তি, ও পরকালের মাগফিরাত কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে মহামহিমা ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে অপার করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসসল্লিরা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত শরু হয়ে শেষ হয় ৯টা ২১ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মাওলানা রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের।
মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের বলেন, হে আল্লাহ আমাদের ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেন। হে আল্লাহ তুমি তো ক্ষমাশীল, তোমার কাছেই তো আমরা ক্ষমা চাইবো। দ্বীনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দাও। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাও। আমরা যেন তোমার সন্তুষ্টি মাফিক চলতে পারি সে তওফিক দাও। দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে আমাদের হেফাজত করো। গোপন গুনাহ, প্রকাশ্য গুনাহ সব গুনাহ মাপ করে দেন। নবীওয়ালা জিন্দেগি আমাদের নসিব করুন।
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহমাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসল্লি আকুতি জানান।
এদিন ভোর থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে সকাল ৯টায়। ২১ মিনিটের মোনাজাতে বিশাল এ জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। কান্নায় বুক ভাসান তারা। প্রথম ৮ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। পরে ১৫ মিনিট বাংলা ভাষায় মেনাজাত করেন। মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিস কার্যত ছিল বন্ধ।
চারদিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে এবার বিপুল সংখ্যক নারী অংশ নিয়েছেন। ইজতেমায় নারীদের অংশ নেওয়ার কোনো বিধান না থাকলেও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নারী শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই আসতে শুরু করেন। তারা ইজতেমা ময়দানের আশপাশ, বিভিন্ন মিলকারখানা, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন দালানের ছাদে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।নারীরা ইজতেমা ময়দানের পাশে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল মাঠ, ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশে কামারপাড়া ও আশপাশের খোলা ময়দানে অবস্থান নেন। আখেরি মোনাজাতের ফজিলত লাভের আশায় তারা মোনাজাতে শরিক হতেই ময়দানের আশপাশের এলাকায় পর্দার সঙ্গে অবস্থান নেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৯
টঙ্গীতে কাভার্ড ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পথচারীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের শিলমুন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁরা আজ ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশে নিতে ময়দানের দিকে যাচ্ছিলেন।এ ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন ফিরোজ (৫০), জহিরুল ইসলাম (৫২), জিসান (২২), জাহিদ হাসান (৩৫), ইকবাল হোসেন (৫৫), নজরুল ইসলাম (৫০), আনিসুর রহমান ৪২), বোরহান উদ্দিন (৫০) ও বাছির উদ্দিন (৫৫)।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। ওসি বলেন, রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে অটোরিকশাযোগে ওই দুই মুসল্লি ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ময়দানের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে অন্তত ১১ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহত দুজনের নাম-পরিচয় বা তাঁদের আত্মীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’ পুলিশ গিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেছে বলে তিনি জানান।
বিশ্ব ইজতেমায় আরও পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু
গাজীপুরের টঙ্গীতে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।এরমধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৯ জন, ময়দানে আসার পথে পাঁচজন ও দায়িত্ব পালনকালে একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৫জন মারা গেলেন। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদগুলো নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫), নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আবদুল জব্বার(৫৫)। আরেক জনের পরিচয় জানা যায়নি।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান, শেরপুরের আমেলা খাতুন(৬০), ঢাকার মিরপুর সাড়ে এগারর বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
COMMENTS