
জুলীয়াস চৌধুরী
এনএনবি, ঢাকা
সভা শেষ হতে না হতেই লোকজন হাত তুলতে এগিয়ে আসেন তাঁর দিকে। কাউকে নিরাশ করেননি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। কেউ কেউ সেলফি তোলেন, ছবি তোলার আগ্রহ দেখান স্বয়ং প্রতিমন্ত্রীও। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) মন্ত্রিত্বের শেষ দিনে ক্রীড়াঙ্গনের ভালোবাসায় সিক্ত হন বিদায়ী ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
২০১৯ সালে, জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি ১০ বছর জাতীয় সংসদে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত পাঁচ বছরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অনেক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ক্রীড়া কর্মকর্তাদের। সুনাম থাকলেও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদে দুই মেয়াদে কোনো সংসদ সদস্য না থাকার প্রথা থেকে সরে আসতে হয়েছে জাহিদ আহসান রাসেলকে। নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁর স্থান হয়নি।
তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অসুস্থ ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের জন্য নিয়মিত চেক ইস্যু করেছেন। তিনি এনএসসিতে তাঁর শেষ কর্মদিবসেও সেই চেক দিতে এসেছিলেন। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। দুই বৈঠকের ফাঁকে তিনি তার পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বের মেয়াদে তার সাফল্য, আক্ষেপ ও আনন্দের কথা সাংবাদিকদের জানান।
তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদের দুই বছর ধরে বিশ্ব করোনা মহামারী এবং লকডাউনের সাথে লড়াই করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রভাব পড়েছিল। এরপর যতটুকু সময় পেয়েছেন তাতে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন মন্ত্রী। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট শুরু করাকে নিজের সাফল্য বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য আমরা ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশন ১৭ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করেছিল, এখন আমরা বরাদ্দ করেছি ৭৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলোয়াড় কোটা চালু করা হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় শেখ কামাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও শেখ হাসিনা স্পোর্টস সিটি কাম ভিলেজ ও জাতীয় ক্রীড়া নীতি বাস্তবায়ন করতে না পারাকে নিজের আক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল।
তাঁর মেয়াদে বাংলাদেশের তরুণরা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছে। মহিলাদের সাফ জিতেছে মহিলা ফুটবল দল। বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাত্র এক রাতে মহিলাদের জন্য ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করতে পারাটা ছিল তাঁর সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত, “মেয়েরা যখন মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল, আমি তাদের জন্য ওপেন-টপ বাসের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত ভালো লাগার বিষয়।”
তাঁর উত্তরসূরিকে সব রকম সহযোগিতার কথাও জানিয়ে গেলেন জাহিদ আহসান রাসেল, “অনেক কিছু করতে পারিনি করোনা ও যুদ্ধের কারণে। নতুন ক্রীড়া মন্ত্রীকে তিনি না চাইলেও তাঁকে যেচেই সহযোগিতা করব। আমি চাই দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাক। ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা। হৃদয় থেকে অনুভব করি খেলাটা।”
এনএনবি, ঢাকা
সভা শেষ হতে না হতেই লোকজন হাত তুলতে এগিয়ে আসেন তাঁর দিকে। কাউকে নিরাশ করেননি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। কেউ কেউ সেলফি তোলেন, ছবি তোলার আগ্রহ দেখান স্বয়ং প্রতিমন্ত্রীও। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) মন্ত্রিত্বের শেষ দিনে ক্রীড়াঙ্গনের ভালোবাসায় সিক্ত হন বিদায়ী ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
২০১৯ সালে, জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি ১০ বছর জাতীয় সংসদে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত পাঁচ বছরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অনেক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ক্রীড়া কর্মকর্তাদের। সুনাম থাকলেও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদে দুই মেয়াদে কোনো সংসদ সদস্য না থাকার প্রথা থেকে সরে আসতে হয়েছে জাহিদ আহসান রাসেলকে। নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁর স্থান হয়নি।
তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অসুস্থ ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের জন্য নিয়মিত চেক ইস্যু করেছেন। তিনি এনএসসিতে তাঁর শেষ কর্মদিবসেও সেই চেক দিতে এসেছিলেন। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। দুই বৈঠকের ফাঁকে তিনি তার পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বের মেয়াদে তার সাফল্য, আক্ষেপ ও আনন্দের কথা সাংবাদিকদের জানান।
তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদের দুই বছর ধরে বিশ্ব করোনা মহামারী এবং লকডাউনের সাথে লড়াই করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রভাব পড়েছিল। এরপর যতটুকু সময় পেয়েছেন তাতে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন মন্ত্রী। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট শুরু করাকে নিজের সাফল্য বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য আমরা ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশন ১৭ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করেছিল, এখন আমরা বরাদ্দ করেছি ৭৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলোয়াড় কোটা চালু করা হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় শেখ কামাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও শেখ হাসিনা স্পোর্টস সিটি কাম ভিলেজ ও জাতীয় ক্রীড়া নীতি বাস্তবায়ন করতে না পারাকে নিজের আক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল।
তাঁর মেয়াদে বাংলাদেশের তরুণরা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছে। মহিলাদের সাফ জিতেছে মহিলা ফুটবল দল। বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাত্র এক রাতে মহিলাদের জন্য ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করতে পারাটা ছিল তাঁর সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত, “মেয়েরা যখন মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল, আমি তাদের জন্য ওপেন-টপ বাসের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত ভালো লাগার বিষয়।”
তাঁর উত্তরসূরিকে সব রকম সহযোগিতার কথাও জানিয়ে গেলেন জাহিদ আহসান রাসেল, “অনেক কিছু করতে পারিনি করোনা ও যুদ্ধের কারণে। নতুন ক্রীড়া মন্ত্রীকে তিনি না চাইলেও তাঁকে যেচেই সহযোগিতা করব। আমি চাই দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাক। ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা। হৃদয় থেকে অনুভব করি খেলাটা।”
COMMENTS