![]() |
রংপুরের রাতের দিগন্ত। সৌজন্যে: উইকিপিডিয়া |
এনএনবি
মঙ্গা, দারিদ্র্য- শব্দগুলো রংপুরের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। এটি দেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেই রংপুর এখন দারিদ্র্য নিরসনে সাফল্য দেখিয়েছে। মাত্র ছয় বছরে রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, রংপুর বিভাগের ৮ নম্বর জেলায় দারিদ্র্য ২৪.৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে, এই বিভাগে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৭.২। ছয় বছরের ব্যবধানে অন্য কোনো বিভাগে দারিদ্র্য এত দ্রুত হ্রাস পায়নি।
রংপুরের এই সাফল্যের কারণে সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা হিসেবে এর দীর্ঘদিনের পরিটিতি মুছে ফেলেছে। রংপুরকে ছাড়িয়ে বরিশাল বিভাগে এখন সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার, ২৬.৯ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান জানিয়েছেন রংপুরে দারিদ্র্যের হার এত কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কিছু কারণ। তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা কমেছে তা বোধগম্য। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে রংপুরের চাকরিপ্রার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের মানুষ আগের চেয়ে বেশি বিদেশে যাচ্ছে। এসব কারণে দারিদ্র্য কমতে পারে। । উপরন্তু, মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে সহজে অর্থ স্থানান্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে।
রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এই আটটি জেলা নিয়ে ২০১০ সালে রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আগে এই জেলাগুলো রাজশাহী বিভাগের অধীনে ছিল।
এর আগে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ১০টি জেলার মধ্যে ৫টি ছিল রংপুর বিভাগে। অর্থাৎ রংপুরের ৮টি জেলার মধ্যে ৫টি ছিল দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা। ২০১৬ সালের হিসাবে, কুড়িগ্রাম ছিল দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। দরিদ্রতম ১০টি জেলার মধ্যে রংপুর বিভাগের বাকি জেলাগুলো ছিল রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট।
বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, তবে বিবিএসের গৃহস্থালি আয়-ব্যয় সমীক্ষায় কোনো জেলার দারিদ্র্যের হার উল্লেখ করা হয়নি। বিবিএস আগামী বছর এটি প্রকাশ করবে।
মঙ্গা, দারিদ্র্য- শব্দগুলো রংপুরের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। এটি দেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেই রংপুর এখন দারিদ্র্য নিরসনে সাফল্য দেখিয়েছে। মাত্র ছয় বছরে রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, রংপুর বিভাগের ৮ নম্বর জেলায় দারিদ্র্য ২৪.৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে, এই বিভাগে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৭.২। ছয় বছরের ব্যবধানে অন্য কোনো বিভাগে দারিদ্র্য এত দ্রুত হ্রাস পায়নি।
রংপুরের এই সাফল্যের কারণে সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা হিসেবে এর দীর্ঘদিনের পরিটিতি মুছে ফেলেছে। রংপুরকে ছাড়িয়ে বরিশাল বিভাগে এখন সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার, ২৬.৯ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান জানিয়েছেন রংপুরে দারিদ্র্যের হার এত কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কিছু কারণ। তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা কমেছে তা বোধগম্য। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে রংপুরের চাকরিপ্রার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের মানুষ আগের চেয়ে বেশি বিদেশে যাচ্ছে। এসব কারণে দারিদ্র্য কমতে পারে। । উপরন্তু, মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে সহজে অর্থ স্থানান্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে।
রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এই আটটি জেলা নিয়ে ২০১০ সালে রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আগে এই জেলাগুলো রাজশাহী বিভাগের অধীনে ছিল।
এর আগে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ১০টি জেলার মধ্যে ৫টি ছিল রংপুর বিভাগে। অর্থাৎ রংপুরের ৮টি জেলার মধ্যে ৫টি ছিল দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা। ২০১৬ সালের হিসাবে, কুড়িগ্রাম ছিল দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। দরিদ্রতম ১০টি জেলার মধ্যে রংপুর বিভাগের বাকি জেলাগুলো ছিল রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট।
বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, তবে বিবিএসের গৃহস্থালি আয়-ব্যয় সমীক্ষায় কোনো জেলার দারিদ্র্যের হার উল্লেখ করা হয়নি। বিবিএস আগামী বছর এটি প্রকাশ করবে।
COMMENTS