
এনএনবি
ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পরিচালন ব্যয় হিসেবে সার্ভিস চার্জ কাটা শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। ইতোমধ্যে, কিছু কিছু ব্যাংক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে এসএমএস চার্জ এবং সার্ভিস চার্জ কেটে নিয়েছে। বছরের শেষ দিনে আবগারি শুল্ক কাটা হবে। ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরে একবার গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আবগারি শুল্ক কাটা হয়। সাধারণত বছরের শেষ দিনে এই শুল্ক কাটা হয়ে থাকে। তবে, এক লাখ টাকার কম জমার জন্য কোনো আবগারি শুল্ক কাটা হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেওয়া হার অনুযায়ি সার্ভিস চার্জ হিসেবে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা কাটা হচ্ছে। আর আবগারি শুল্ক কাটা হবে সর্বনিম্ন ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকের ব্যাংক হিসেবে জমা টাকার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সরকার নির্ধারিত হারে আবগারি শুল্ক কাটা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরে অন্তত একবার কোনো গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা জমা রাখলে সেক্ষেত্রে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হবে। ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা জমার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা, ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকায় ৩ হাজার টাকা, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা হলে ১৫ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি জমা হলে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে নেওয়া হবে।
এ ছাড়া ব্যাংকগুলো ছয় মাস পর পর বছরে দুইবার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকার কম হলে কোনো সার্ভিস চার্জ কাটা হয় না। ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা জমার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ ২০০ টাকা, ২ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার বেশি জমার জন্য সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
উদাহরণ স্বরূপ, একজন গ্রাহক যদি জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে যেকোনো এক মাসে ১১,০০০ টাকা জমা করেন, তাহলে জুন মাসে সেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে। একইভাবে, বছরের শেষার্ধে, অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে, ব্যাংকগুলি একই পরিমাণ সার্ভিস চার্জ কাটবে। এছাড়া বছর শেষে এসএমএস এবং মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাবদও ব্যাংকগুলো গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু টাকা কেটে নেয়।
COMMENTS