বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রংপুর মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শখা কমিটি বিলুপ্ত এবং জেলা কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৪ জুলাই সোমবার একই তারিখের পৃথক ৩টি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রংপুর মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হলো। এছাড়া রংপুর জেলা কমিটি স্থগিত করা হলো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এসব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপরিউল্লিখিত কারন ছাড়া আর কোন কারন উল্লেখ করা না হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রংপুর সফর করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দলে গুরুত্বর্পূন ৩টি শাখা কমিটির বিরুদ্ধে এরুপ খরগ হস্ত আরোপ করায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে পুরো বিষয়টি রংপুরে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে জেলা কমিটি গঠনের এক বছরের মধ্যেই তা স্থগিত ঘোষনা করায় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং হতাশার সৃষ্টি হয়েছে বেশী। তবে এসবের পিছনে নেতাদের দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ সহ বিভিন্ন অনৈতিক অভিযোগ রয়েছে বলে দলের একটি সুত্র জানিয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অপর একটি সুত্র জানিয়েছে, দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরিন বিরোধ ও গ্রুপিং সমস্য নিরসনের লক্ষ্যে গত ২রা জুলাই রংপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দলের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঐ প্রতিনিধি সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেদিন তাদের উপস্থিতিতেই নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ্ আপেলকে বেধরক পিটিয়েছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের অপর একটি সুত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন পূর্বে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতারা লাঞ্চিত হয়েছিল। ঐ ঘটনার রেশ ধরেই হামলার শিকার হন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ্ আপেল। ধারনা করা হচ্ছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ৭ বছর পর গত বছর ৪ঠা জুন রংপুর জেলা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। ঐ কমিটিতে এস এম সাব্বির আহমেদকে সভাপতি এবং তানিম আহসান চপলকে সাধারন সম্পাদক করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য ঐ কমিটির অনুমোদন দেন।
২০১৫ সালে শফিউর রহমান স্বাধীনকে সভাপতি ও শেখ আসিফ হোসেনকে সাধারন সম্পাদক করে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি এবং ২০১৬ সালের ৩১ শে মে ৫১ সদস্যের র্পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিল।
COMMENTS