অধিপত্য, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, কর্মচারিদের গালিগালাজের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক)পরিচালকের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন একই সময় আলাদা করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠন দুটি। এসময় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার বেলা ১২ টায় পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এ সময় তারা পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ চলাকালীন বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ রাকিবুল ইসলাম তারেক, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ কিশোর হাসানসহ নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে রমেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির (১৬-২০ গ্রেড) সভাপতি শাহীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়নসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ কিশোর হাসান জানান, ২৬৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘন্টা রংপুর বিভাগের মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে, অথচ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোন সুযোগ সুবিধা নেই, পরিচয় পত্র নাই, ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দকৃত হোস্টেলে থাকার জন্য বেড, বিছানাও খাবারের মান খুবই খারাপ। এ বিষয়ে অনেকবার পরিচালকের কাছে তুলে ধরলেও কোন সুরাহা না করে উল্টো খারাপ আচরণ করে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। আমরা এসবের দ্রুত সমাধান চাই।
এ সময় রমেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীন ইসলাম জানান, পরিচালক দায়িত্বে আসার পর থেকেই নানা অজুহাতে কর্মচারীদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে, সেই সাথে আধিপত্য বিস্তার, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, কর্মচারিদের গালিগালাজে লিপ্ত তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় মোবাইলে চাকুরিচ্যুত করার ম্যাসেজ করে হুমকি প্রদান করেন তিনি। আমরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, এরমধ্যে পরিচালকের অপসারণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।
এ বিষয়ে রমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, দুটি গ্রুপ আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা স্মারকলিপি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়গুলো দেখছি। পরিচালক স্যারের সাথে এ বিষয়গুলো নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেব। হাসপাতালের কার্যক্রম সুস্থতার সহিত চলমান আছে। সকলকে আমরা বিষয় গুলোন দেখা আশ^াস প্রদান করেছি।
এদিকে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শরীফুল হাসান মোবাইলে জানান এই চক্র হাসপাতাল অস্থিতিশীল করতে এ রকম করছে । এদের উদ্দ্যেশ্য ভাল না । তিনি জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান ।
COMMENTS