ছবি: এনএনবি |
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের কাছ থেকে বকেয়া হিসাবে ৮০ কোটি ডলার পায় ভারতের আদানি পাওয়ার। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানির কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ পাঠানো হয়, তার বকেয়া হিসাবে এই অর্থ পায় প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্লুমবার্গ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
গভর্নর বলেছেন, ‘আমরা যদি তাদের (এই অর্থ) পরিশোধ না করি, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আদানি গ্রুপের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অভ্যন্তরীণ আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আদানি পাওয়ারের অবশ্য এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিকল্পনা নেই। তবে অর্থপ্রদান না হলে ঋণদাতা এবং কয়লা সরবরাহকারীদের চাপের মুখে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি।
৫ আগস্ট, ২০২৪ ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর দেশের দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আর্থিক সঙ্কটের কারণে নতুন সরকারকে সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক বকেয়া ২০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে এয়ারলাইনসের বকেয়াও রয়েছে, যা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
৩১ জুলাই, ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এটি দিয়ে প্রায় তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। অন্তর্বর্তী সরকার এই অর্থনৈতিক অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিশ্রুত ৪৭০ কোটি ডলারের বাইরেও আরও ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আমাদের বার্তাটি পরিষ্কার, আমাদের অর্থের প্রয়োজন। আমরা সব বকেয়া পরিশোধ করতে চাই।’
COMMENTS