এনএনবি, ঢাকা
২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশের রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট, ২০২৪) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, সাবেক শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এনএসআইয়ের প্রধান জিয়াউল হাসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, তৎকালীন র্যাবপ্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিসি বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানার ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ কমিশনার, আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে মন্তব্য লেখালেখির প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানায়। সরকার দাবি না মানার কারণে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরাসহ মিলে নিরহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়।
হত্যার পর সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। ওই অভিযানে রাজনীতিকসহ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন মানুষকে নির্বিচার গণহত্যার অভিযোগ করেন বাদী।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে নিহত স্বজনের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
আজ রোববার নিহত নজিবুল সরকারের বাবা মজিদুল সরকার বাদী হয়ে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনকে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশের রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট, ২০২৪) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, সাবেক শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এনএসআইয়ের প্রধান জিয়াউল হাসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, তৎকালীন র্যাবপ্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিসি বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানার ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ কমিশনার, আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে মন্তব্য লেখালেখির প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানায়। সরকার দাবি না মানার কারণে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরাসহ মিলে নিরহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়।
হত্যার পর সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। ওই অভিযানে রাজনীতিকসহ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন মানুষকে নির্বিচার গণহত্যার অভিযোগ করেন বাদী।
নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল হাসান স্বজন নামে এক চাকরিজীবী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড়শ থেকে দুইশ জনকে আসামি করা হয়েছে।শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে নিহত স্বজনের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু।
হাসিনা-কাদেরসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী'সহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
জয়পুরহাটে শেখ হাসিনা, কাদেরসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জয়পুরহাটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আরেকটি মামলা হয়েছে। আন্দোলনে কলেজছাত্র নজিবুল সরকার (১৮) গুলিতে নিহতের ঘটনায় এ মামলা হয়েছে।আজ রোববার নিহত নজিবুল সরকারের বাবা মজিদুল সরকার বাদী হয়ে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনকে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কারওয়ান বাজারে ২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা হয়েছেআজ রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
COMMENTS