
কাজী সোহান শরীফ
এনএনবি, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষের (জিকে) কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলার কয়েক লাখ কৃষক। ৩টি পাম্পের মধ্যে ২টি পাম্প অচল এবং পানির প্রাপ্যতা না থাকায় অপরটিও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে কৃষি কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জিকে) মাধ্যমে পানি না পাওয়ায় শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচ বাবদ প্রতি বিঘায় খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। স্বল্প মূল্যের সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় ৩০ থেকে ৩৫ গুণ বেশি খরচ করে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছে কৃষকরা।
চলমান এই সমস্যা কত দিনে সমাধান হবে বা কৃষক কবে জমিতে পানি পাবে তা-ও জানেনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
চলতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি সেচ পাম্পটি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে চার জেলার ১৩টি উপজেলায় কৃষি কাজে নেমে আসে স্থবিরতা। বোরো আবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অনেকেই উচ্চ মূল্যে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে ধানের জমিতে পানি দিচ্ছে। একই সাথে পাম্প বিকল হওয়ায় বোরো মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা প‚রণ হবেনা বলেও জানা যায়।
চাঁদ গ্রামের কৃষক চন্দন জানান, পানির অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উপর বৃষ্টিও না থাকায় পুড়ছে জমির ভুট্টা ও ফসল।
ভেড়ামারা বাহিরচর এলাকার জমির মালিক জিপ্পি আসাদ এনএনবি’ কে বলেন, আমরা এখনো পানি পাইনি। এই মৌসুমে পানি পাওয়া যাবে কিনা জানি না। পানির অভাবে জমিতে আবাদ করতে পারছি না। এর ফলে বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন প্রায় অনিশ্চিত।
ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌস এনএনবি’ কে বলেন,গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের আওতাধীন ভেড়ামারায় জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় চাঁদগ্রাম ও বাহিরচর ইউনিয়নের প্রায় ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমে ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা । বর্তমানে জিকে সেচ পাম্পের ৩টি পাম্পই বন্ধ থাকায় চলতি বছর এই মৌসুমে ৬২৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করছে।পানির অভাবে ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলায় কর্মরত মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
ভেড়ামারা পাম্প স্টেশন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এনএনবি’ কে জানান, চার জেলার মোট ১৩টি উপজেলায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে ৩টি পাম্প বন্ধ রয়েছে। ২টি অচল ও ১টি সচল থাকলেও পানির প্রাপ্যতা না থাকায় সেটিও বন্ধ রয়েছে।
এ বছর বোরো মৌসুমের আবাদে আমরা সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম চালু করতে পারিনি। তবে আমন আবাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাম্প চালু করার চেষ্টা থাকবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এনএনবি, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষের (জিকে) কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলার কয়েক লাখ কৃষক। ৩টি পাম্পের মধ্যে ২টি পাম্প অচল এবং পানির প্রাপ্যতা না থাকায় অপরটিও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে কৃষি কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জিকে) মাধ্যমে পানি না পাওয়ায় শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচ বাবদ প্রতি বিঘায় খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। স্বল্প মূল্যের সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় ৩০ থেকে ৩৫ গুণ বেশি খরচ করে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছে কৃষকরা।
চলমান এই সমস্যা কত দিনে সমাধান হবে বা কৃষক কবে জমিতে পানি পাবে তা-ও জানেনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
চলতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি সেচ পাম্পটি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে চার জেলার ১৩টি উপজেলায় কৃষি কাজে নেমে আসে স্থবিরতা। বোরো আবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অনেকেই উচ্চ মূল্যে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে ধানের জমিতে পানি দিচ্ছে। একই সাথে পাম্প বিকল হওয়ায় বোরো মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা প‚রণ হবেনা বলেও জানা যায়।
চাঁদ গ্রামের কৃষক চন্দন জানান, পানির অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উপর বৃষ্টিও না থাকায় পুড়ছে জমির ভুট্টা ও ফসল।
ভেড়ামারা বাহিরচর এলাকার জমির মালিক জিপ্পি আসাদ এনএনবি’ কে বলেন, আমরা এখনো পানি পাইনি। এই মৌসুমে পানি পাওয়া যাবে কিনা জানি না। পানির অভাবে জমিতে আবাদ করতে পারছি না। এর ফলে বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন প্রায় অনিশ্চিত।
ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌস এনএনবি’ কে বলেন,গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের আওতাধীন ভেড়ামারায় জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় চাঁদগ্রাম ও বাহিরচর ইউনিয়নের প্রায় ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমে ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা । বর্তমানে জিকে সেচ পাম্পের ৩টি পাম্পই বন্ধ থাকায় চলতি বছর এই মৌসুমে ৬২৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করছে।পানির অভাবে ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলায় কর্মরত মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
ভেড়ামারা পাম্প স্টেশন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এনএনবি’ কে জানান, চার জেলার মোট ১৩টি উপজেলায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে ৩টি পাম্প বন্ধ রয়েছে। ২টি অচল ও ১টি সচল থাকলেও পানির প্রাপ্যতা না থাকায় সেটিও বন্ধ রয়েছে।
এ বছর বোরো মৌসুমের আবাদে আমরা সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম চালু করতে পারিনি। তবে আমন আবাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাম্প চালু করার চেষ্টা থাকবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
COMMENTS