![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, গাজীপুর
কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখী
যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ঢাকায় অফিসগামী ও নানান কাজে ঢাকা অভিমুখী শত
শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আজ সোমবার (৮ এপ্রিল, ২০২৪) সকালে সরেজমিনে জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে
গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনটির প্রচলিত চারটি গেটের তিনটিই বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছে। যাত্রীরা শুধুমাত্র স্টেশনের মূল গেট অর্থাৎ স্টেশনের পেছন দিকের গেট
দিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন। সেখানে অস্থায়ীভাবে আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে।
যাত্রীরা বৈধ টিকেট দেখাতে পারলেই কেবল স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন। কয়েকজন
টিকেট চেকার জানান ঢাকা অভিমুখী ট্রেনের কোনো টিকেট দেওয়া হচ্ছে না। কেন
দেওয়া হচ্ছে না তা তিনি জানাতে পারেননি। জয়দেবপুর থেকে ঢাকা অভিমুখী ট্রেনের
টিকেট কতদিন দেওয়া হবে না তাও তিনি জানাতে পারেননি।
সারাদিনই ঢাকা অভিমুখী ট্রেনযাত্রীদের স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে হট্টগোল করতে দেখা গেছে। এমনকি একজন কার্ডধারী প্রতিবন্ধী যাত্রীকেও স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
গাজীপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, ‘জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন
স্টেশন থেকে প্রতিদিন ঢাকা অভিমুখী শত শত যাত্রী ট্রেনে ভ্রমণ করেন। অনেকের
ঢাকায় অফিস করেন, অনেকে পড়তে যান, অনেকে যান ব্যক্তিগত কাজে। এই রুটে যাত্রী
পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এই যাত্রীরা। যাত্রী পরিবহন বন্ধের
বিষয়টি প্রচার না হওয়ায় এই ভোগান্তি আরও বেড়েছে। যাত্রীদের স্টেশনে এসে
বিষন্ন বদনে ফেরত যেতে হচ্ছে।’
এদিকে জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবু হানিফ আলীকে আজ
দুপুর পর্যন্ত স্টেশনে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি এই
প্রতিবেদককে ২টার পরে স্টেশনে যেতে বলেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তার অফিস কক্ষে
বসে তিনি জানান, রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে
ব্যানারের মাধ্যমে জানিয়ে এবং মৌখিকভাবে বলেছে ঢাকা অভিমুখী যাত্রীদের কাছে
টিকেট বিক্রি না করার জন্য। কিন্তু স্টেশনের বাইরে এ ধরণের কোনো ব্যানার
দেখতে পাওয়া যায়নি। কেউ যদি অনলাইনে টিকেট কাটতে পারেন তাহলে তিনি ট্রেনে
ঢাকা অভিমুখে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে এই স্টেশন মাস্টার দাবি করেন। কিন্তু
রেল সেবা অ্যাপে ঢুকে ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত জয়দেবপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত
কোন টিকেট বিক্রির জন্য উপলব্ধ নেই। স্টেশন মাস্টার আরও জানান, যাদের মাসিক
টিকেট কাটা আছে তারা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
COMMENTS