![]() |
গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকচক্র। ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
দেশসেরা সংবাদমাধ্যমের ক্রাইম রিপোর্টার ও দুদকের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে
প্রতারণাকারী একটি চক্রের মূলহোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ মার্চ, ২০২৪) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে এই চক্রের তিন
সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, চক্রের মূলহোতা ফিরোজ খান (৫২), তার শ্যালক মো.
হাসান মুন্না (২৮) ও মুন্নার শ্যালক মো. রিয়াজ (১৮)। এ সময় তাঁদের কাছে
বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড ও দুদক
কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনায় দুদক বাদী হয়ে ডিএমপির রমনা
থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে
রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে
গ্রেপ্তার করে ডিবি।
শ্যালক ও দুলাভাই চক্রের সদস্যরা কখনও সাংবাদিক আবার কখনও দুদক কর্মকর্তা পরিচয়
দিয়ে তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।
সোমবার (২৫ মার্চ, ২০২৪) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
(গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘চক্রটি প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ওয়ার্ড
কমিশনারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নিউজ হলে, সেই
নিউজের ডিটেইলস জেনে নিত। পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অভিযুক্ত
ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাংবাদিক পরিচয়ে সমাধান করে দেওয়ার
কথা বলে নানাভাবে আলোচনা করে। এরপর দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে তদন্ত
প্রতিবেদন পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত।
তাঁদের ব্যবহার করা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম্বারগুলো বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতারক চক্রটি কখনো এনটিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার, কখনো এসএটিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টারসহ একাধিক টিভি ও পত্রিকার সিনিয়র ক্রাইম
রিপোর্টার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে এই সব প্রতারণা করত। রমনা থানায় দায়ের হওয়া
দুদকের মামলায় ছয়টি সিম নম্বর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। অভিযানে প্রতারকদের কাছ
থেকে একাধিক সিম উদ্ধার করা হয়, যা তাঁরা দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার
কাজে ব্যবহার করত। এই চক্রটির বিরুদ্ধে একই অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
COMMENTS