![]() |
ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। |
এনএনবি, ঢাকা
শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের
করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন।
রবিবার (৩ মার্চ, ২০২৪) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলামের আদালতে
আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা
মুচলেকায় তার জামিনের এ আদেশ দেন। তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য
নিশ্চিত করেন।
গত ৩০মে, ২০২৩ গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২
লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে
মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের অনুমোদিত চার্জশিটে আসামি ছিল ১৩ জন। নতুন করে একজন আসামি যুক্ত হয়েছে।
তিনি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল
হাসান।
চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান
বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী,
অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি
মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের
দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে
আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান
আনোয়ার প্রধান। রবিবার (৩ মার্চ, ২০২৪) মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা
লভ্যাংশের মধ্যে অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক
কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা
পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জাল-জালিয়াতির
আশ্রয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
একই সঙ্গে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে অর্থ আত্মসাৎ
করেছেন তারা। যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায়
শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.
মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় কমিশন থেকে চার্জশিট
প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
COMMENTS