![]() |
নেত্রকোণার মদন উপজেলার কদমশ্রী হাওর এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা ফসলের মাঠের ছবি। |
ফেরদৌস আহমদ
এনএনবি, নেত্রকোণা
চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় নেত্রকোণায় এমওপি সারের সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, ফসল আবাদে ইউরিয়া এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ), টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) এবং ডিএপি (ডি অ্যামোনিয়া ফসফেট) সার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে এমওপি সার বেশি প্রয়োজন বলে জানান কৃষকরা। বরো প্রধান এলাকা হিসেবে নেত্রকোণা জেলায় এমওপি সার বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাফার গুদামে বর্তমানে ৩ হাজার ৯১ টন এমওপি সার মজুদ রয়েছে। গত জানুয়ারির চাহিদা অনুযায়ী এমওপি সারের প্রয়োজন ছিল ৪ হাজার ৩০৯ টন। অভিযোগে বলা হয়, অনেক ডিলার ফেব্রুয়ারি মাস পেরিয়ে গেলেও গত জানুয়ারির সার উত্তোলন করেননি। তবে কোনো ডিলার অভিযোগ স্বীকার করেন না।
এদিকে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান কমিটির সাম্প্রতিক সভায় চলতি বোরোর পিক মৌসুমে আরও ৭ হাজার টন এমওপি সারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, এমওপি সারের বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় কম। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩০২ টন এমওপি সারের চাহিদার বিপরীতে ১১ হাজার ৯৯২ টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বার্ষিক ঘাটতি ১৬ হাজার ৩১০ টন। চলতি মৌসুমে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার আরও ৪ হাজার টন।
কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ বলেন, এমওপি সার ব্যবহারের কারণে বোরো ফসলের রোগবালাই ও পোকার আক্রমন কম হয়। এছাড়া চিটাও কম হয় বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।
নেত্রকোণা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বাতাইয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম জানান, এই সময়ে বোরো জমিতে ইউরিয়া সারের চেয়ে এমওপি সারের প্রয়োজন বেশি। কৃষকরা যাতে এই সার সংকটে না পড়েন এবং চাহিদা অনুযায়ী তা পেতে পারেন সেজন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
জেলা ফার্টিলাইজার কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল হক বলেন, নেত্রকোণা জেলায় কোন ধরনের সারের সংকট নেই। সকল প্রকার সারের পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ রয়েছে।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান জানান, বোরো চাষে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য জেলায় যেকোনো ধরনের সারের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জরুরি সময়ের জন্য সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদও রাখা হচ্ছে। কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাবেন। তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত এমওপি সার বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর নেত্রকোণা জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তমধে উফশীর চাষ হচ্ছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯০ হেক্টর, হাইব্রিড ৪৫ হাজার ৫৯৮ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১৭২ হেক্টর জমিতে। হাওরাঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমি। এ অঞ্চলের পুরো জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর জেলায় ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনএনবি, নেত্রকোণা
চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় নেত্রকোণায় এমওপি সারের সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, ফসল আবাদে ইউরিয়া এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ), টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) এবং ডিএপি (ডি অ্যামোনিয়া ফসফেট) সার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে এমওপি সার বেশি প্রয়োজন বলে জানান কৃষকরা। বরো প্রধান এলাকা হিসেবে নেত্রকোণা জেলায় এমওপি সার বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাফার গুদামে বর্তমানে ৩ হাজার ৯১ টন এমওপি সার মজুদ রয়েছে। গত জানুয়ারির চাহিদা অনুযায়ী এমওপি সারের প্রয়োজন ছিল ৪ হাজার ৩০৯ টন। অভিযোগে বলা হয়, অনেক ডিলার ফেব্রুয়ারি মাস পেরিয়ে গেলেও গত জানুয়ারির সার উত্তোলন করেননি। তবে কোনো ডিলার অভিযোগ স্বীকার করেন না।
এদিকে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান কমিটির সাম্প্রতিক সভায় চলতি বোরোর পিক মৌসুমে আরও ৭ হাজার টন এমওপি সারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, এমওপি সারের বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় কম। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩০২ টন এমওপি সারের চাহিদার বিপরীতে ১১ হাজার ৯৯২ টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বার্ষিক ঘাটতি ১৬ হাজার ৩১০ টন। চলতি মৌসুমে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার আরও ৪ হাজার টন।
কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ বলেন, এমওপি সার ব্যবহারের কারণে বোরো ফসলের রোগবালাই ও পোকার আক্রমন কম হয়। এছাড়া চিটাও কম হয় বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।
নেত্রকোণা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বাতাইয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম জানান, এই সময়ে বোরো জমিতে ইউরিয়া সারের চেয়ে এমওপি সারের প্রয়োজন বেশি। কৃষকরা যাতে এই সার সংকটে না পড়েন এবং চাহিদা অনুযায়ী তা পেতে পারেন সেজন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
জেলা ফার্টিলাইজার কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল হক বলেন, নেত্রকোণা জেলায় কোন ধরনের সারের সংকট নেই। সকল প্রকার সারের পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ রয়েছে।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান জানান, বোরো চাষে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য জেলায় যেকোনো ধরনের সারের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জরুরি সময়ের জন্য সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদও রাখা হচ্ছে। কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাবেন। তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত এমওপি সার বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর নেত্রকোণা জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তমধে উফশীর চাষ হচ্ছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯০ হেক্টর, হাইব্রিড ৪৫ হাজার ৫৯৮ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১৭২ হেক্টর জমিতে। হাওরাঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমি। এ অঞ্চলের পুরো জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর জেলায় ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
COMMENTS