![]() |
কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্ৰামে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয়েছে। |
গাজীপুর প্রতিনিধি
কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামে ‘রানি ভবানীর দুর্গ’ এর নিদর্শন উদ্ধারে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি একটি বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে এ খনন কাজের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘এই কাজটি কাপাসিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজ শেষ হলে এই অঞ্চল আরও বেশি ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে। আমরা গর্বিত হব।’
খনন কাজের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি নিজ খরচে এ খনন কাজ শুরু করেছেন। এই কাজে যুক্ত আছেন তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’ এর বেশ কয়েকজন প্রত্নতাত্ত্বিক। তিনি বলেন, ‘আমরা খনন কাজ শুরু করেছি। আপাতত নিজ উদ্যোগে কাজ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। অর্থ পাওয়া গেলে কাজটি অব্যাহতভাবে চলবে।’
জানা যায়, কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে বানার নদের পূর্ব পাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে রানি ভবানীর দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। এটি বনিয়া রাজার আমলে নির্মিত হয়েছে। রানি ভবানী ছিলেন বানিয়া রাজার শেষ বংশধর। তার দুর্গের ধ্বংসাবশেষের সবচেয়ে বেশি অবস্থান দরদরিয়া গ্রামের উত্তর অংশে।
দুর্গটির বাইরের প্রাচীর মাটি দিয়ে নির্মিত। প্রাচীরের উচ্চতা ১২-১২ ফুট। প্রাচীরের পরিধি প্রায় ২ মাইল এবং এর পরিখা প্রায় ৩০ ফুট প্রশস্ত। দুর্গের পাঁচটি প্রবেশদ্বার ছিল। তবে ইট বা পাথর নির্মিত প্রবেশদ্বার বা তোরণের কোনো চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি। প্রাচীরটি অর্ধচন্দ্রাকারে নির্মিত। এই প্রাচীরের কিছুটা দূরে আরেকটি প্রতিরক্ষা প্রাচীরের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। এটি ইট নির্মিত অর্ধ চন্দ্রাকার।
দুর্গটি ‘রানির বাড়ি’ নামে পরিচিত। রানী ভবানী ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম অভিযানের সময় ওই দুর্গে বসবাস করছিলেন। এটিই ঐতিহাসিক ‘একডালা দুর্গ’ নামে পরিচিত। বাংলার দ্বিতীয় স্বাধীন সুলতান শামস্ উদ্দিন ইলিয়াস শাহ ১৩৫৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলগ বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলে একডালা দুর্গে অবস্থান নেন। কিন্তু সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলগ ২২ দিন অপেক্ষা করেও সুলতান শামস্ উদ্দিন ইলিয়াস শাহকে পরাস্ত করতে পারেনি।
ইতিহাসে ‘একডালা দুর্গ’র কথা উল্লেখ থাকলেও আজ পর্যন্ত তা উদ্ধার করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে উঁচু ভূমিতে দৃশ্যমান ধ্বংসাবশেষের ইটগুলো স্থানীয় লোকজন তুলে নিয়ে গেছে। অথচ ইতিহাস সমৃদ্ধ এলাকাটি সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের কাছে। ওই এলাকাটি কাগজপত্রে সংরক্ষিত হলেও এরই মধ্যে সেখানকার জমি যেনতেন ভাবে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা।
দরদরিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘বাপ–দাদার কাছ থেকে আমরা এই এলাকার ইতিহাসের রানি ভবানীর দুর্গের গল্প শুনেছি। নতুন করে এই উদ্যোগে হয়তো আরও নতুন অনেক তথ্য জানতে পারব।’
কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামে ‘রানি ভবানীর দুর্গ’ এর নিদর্শন উদ্ধারে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি একটি বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে এ খনন কাজের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘এই কাজটি কাপাসিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজ শেষ হলে এই অঞ্চল আরও বেশি ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে। আমরা গর্বিত হব।’
খনন কাজের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি নিজ খরচে এ খনন কাজ শুরু করেছেন। এই কাজে যুক্ত আছেন তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’ এর বেশ কয়েকজন প্রত্নতাত্ত্বিক। তিনি বলেন, ‘আমরা খনন কাজ শুরু করেছি। আপাতত নিজ উদ্যোগে কাজ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। অর্থ পাওয়া গেলে কাজটি অব্যাহতভাবে চলবে।’
জানা যায়, কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে বানার নদের পূর্ব পাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে রানি ভবানীর দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। এটি বনিয়া রাজার আমলে নির্মিত হয়েছে। রানি ভবানী ছিলেন বানিয়া রাজার শেষ বংশধর। তার দুর্গের ধ্বংসাবশেষের সবচেয়ে বেশি অবস্থান দরদরিয়া গ্রামের উত্তর অংশে।
দুর্গটির বাইরের প্রাচীর মাটি দিয়ে নির্মিত। প্রাচীরের উচ্চতা ১২-১২ ফুট। প্রাচীরের পরিধি প্রায় ২ মাইল এবং এর পরিখা প্রায় ৩০ ফুট প্রশস্ত। দুর্গের পাঁচটি প্রবেশদ্বার ছিল। তবে ইট বা পাথর নির্মিত প্রবেশদ্বার বা তোরণের কোনো চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি। প্রাচীরটি অর্ধচন্দ্রাকারে নির্মিত। এই প্রাচীরের কিছুটা দূরে আরেকটি প্রতিরক্ষা প্রাচীরের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। এটি ইট নির্মিত অর্ধ চন্দ্রাকার।
দুর্গটি ‘রানির বাড়ি’ নামে পরিচিত। রানী ভবানী ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম অভিযানের সময় ওই দুর্গে বসবাস করছিলেন। এটিই ঐতিহাসিক ‘একডালা দুর্গ’ নামে পরিচিত। বাংলার দ্বিতীয় স্বাধীন সুলতান শামস্ উদ্দিন ইলিয়াস শাহ ১৩৫৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলগ বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলে একডালা দুর্গে অবস্থান নেন। কিন্তু সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলগ ২২ দিন অপেক্ষা করেও সুলতান শামস্ উদ্দিন ইলিয়াস শাহকে পরাস্ত করতে পারেনি।
ইতিহাসে ‘একডালা দুর্গ’র কথা উল্লেখ থাকলেও আজ পর্যন্ত তা উদ্ধার করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে উঁচু ভূমিতে দৃশ্যমান ধ্বংসাবশেষের ইটগুলো স্থানীয় লোকজন তুলে নিয়ে গেছে। অথচ ইতিহাস সমৃদ্ধ এলাকাটি সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের কাছে। ওই এলাকাটি কাগজপত্রে সংরক্ষিত হলেও এরই মধ্যে সেখানকার জমি যেনতেন ভাবে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা।
দরদরিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘বাপ–দাদার কাছ থেকে আমরা এই এলাকার ইতিহাসের রানি ভবানীর দুর্গের গল্প শুনেছি। নতুন করে এই উদ্যোগে হয়তো আরও নতুন অনেক তথ্য জানতে পারব।’
COMMENTS