সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আফম কামাল ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করার কথা জানিয়ে সিলেট নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে তারা মাঠে নেমেছেন।
রোববার রাত ৮টার দিকে নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী কামালকে। সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল এক সময় জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এবং সিলেট ল কলেজের জিএস ছিলেন।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির রাতে সাংবাদিকদের বলেন, দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে খুনিরা কামালকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনার সময় কামাল ছিলেন গাড়িতে। খুনিরা গাড়ি আটকে তাকে ছুরিকাঘাত করে।
এই হত্যাকা-ের জেরে মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মধ্যরাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে রিকাবিবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, কামালের ট্র্যাভেল এজেন্সির ব্যবসা ছিল। ব্যবসা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন।
“এই বিরোধের জেরে গত ১৫ অক্টোবর জিন্দাবাজার এলাকার আল মারজান শপিং সেন্টারের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতিও হয়। পরদিন কামালসহ কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান সম্রাট। তিনি মহানগরের বড়বাজার এলাকায় থাকেন। হত্যাকা- ওই এলাকাতেই ঘটেছে। ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।”
মামলা ও পুলিশের সন্দেহের বিষয়ে বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান সম্রাটের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
কামালের মরদেহ ওসমানী মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে জানিয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি জাকির বলেন, “আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।”
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, হত্যাকারী যেই হোক, তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে সোমবার সকালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই হত্যাকা-কে পুঁজি করে রাজনৈতিকভাবে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয় এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের যেন দমন-পীড়ন করা না হয়।”
COMMENTS