
পুলিশের নীরব ভূমিকায় ফেনী জেলা শহরে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে সাজেদা আক্তারকে হত্যাচেষ্টার আসামীরা বহালতরিয়তে ঘোরাফেরা করে জনমনে আতঙ্ক চড়াচ্ছে। থানার পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার লিপির পরিবার উপায় অন্ত না দেখে আদালতের দ্বারস্ত হন। আদালত থেকে ওই থানায় তদন্তের নির্দেশ দিলেও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বিকেল ফেনী জেলা শহরের ফেনী সদর মডেল থানাধীন পোস্ট অফিস রোড রেলগেট সংলগ্ন উৎসব রেস্টুরেন্টের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে ডাব কিনে বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর পরই ডাবের টাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার সময় আনুমানিক ২২ থেকে ৩০ বছর বয়সের অজ্ঞাতনামা একজন যুবক অতর্কিতে পিছন দিকে থেকে এসে ডাব বিক্রেতা মীর হোসেনের ডাব কাটার ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সাজেদা আক্তার লিপির (৩৫) ঘাড়ে সজোরে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত ও গভীর কাটা জখম করে। এসময় সাজেদা আক্তারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকে। তৎক্ষণাৎ ওই সন্ত্রাসী সাজেদা আক্তারকে আরও একটি কোপ দিতে উদ্যত হলে সাজেদা আক্তার আহত অবস্থায় পাশের একটি দোকানের দিকে দৌড়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ফেনী সদর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত এজাহার জমা দিলেও পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
পরে গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার লিপির ছেলে মারুফ আহাম্মদ আদিত (১৯) বাদী হয়ে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত ফেনী সদর এর আদালতে সি.আর মামলা নম্বর ১৪৩৯/২০২৪ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য ওই ফেনী সদর মডেল থানাকেই নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে অপরাধ সংঘঠনের এলাকার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন।
কিন্তু ফেনী সদর মডেল থানার পুলিশ আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কালক্ষেপণ ও এক প্রকার নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার লিপির আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, পুলিশের নীরব ভূমিকায় ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার লিপির পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জানতে চাইলে ফেনী সদর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রেজোয়ানুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ঝাপসা। তবে, আমরা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
COMMENTS