শেখ হাসিনা |
অনলাইন ডেস্ক
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে। ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল আলোচনা। ভারত কি তাকে ফিরিয়ে দেবে? কীভাবে কাজ করবে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি? আর বাংলাদেশের সরকার কেন এখনও কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি? হত্যা এবং অন্যান্য গুরুতর অভিযোগে মামলার পরও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না হওয়ার পেছনের কারণ কী? কূটনৈতিক ও আইনি বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ ও ভারত ...
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মতে, শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রদান করা হলে তা আটকানোর কোনো আইনি উপায় নেই।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যাসহ দুই শতাধিক মামলা হয়েছে, যা তাকে দেশে ফেরত চাওয়ার প্রেক্ষাপটকে জটিল করে তুলেছে।
এদিকে, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনা করলে, বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে কার্যকর নাও হতে পারে।
এই চুক্তি অনুযায়ী হত্যা, নরহত্যা, বিস্ফোরক পদার্থের অপব্যবহার ইত্যাদি অপরাধকে রাজনৈতিক বলে গণ্য করার সুযোগ নেই।
তাজুল ইসলাম মনে করেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুত উদ্যোগ নেবে।
কূটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইনগত ভিত্তি থাকলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, "প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনার আইনি উপায় থাকলেও বাংলাদেশ কেন এখনও কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।"
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম মনে করেন, আদালতের বিচারক নিয়োগ এবং ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হলে তিনি যেখানেই থাকেন, সেই দেশের সাথে চুক্তি থাকলে তাকে ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে।"
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় ভারতীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বড় ভূমিকা পালন করবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকা, রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা বিবেচনায় এই প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম শুরু করার পর এই প্রশ্নগুলির সমাধান হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে। ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল আলোচনা। ভারত কি তাকে ফিরিয়ে দেবে? কীভাবে কাজ করবে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি? আর বাংলাদেশের সরকার কেন এখনও কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি? হত্যা এবং অন্যান্য গুরুতর অভিযোগে মামলার পরও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না হওয়ার পেছনের কারণ কী? কূটনৈতিক ও আইনি বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ ও ভারত ...
শেখ হাসিনার ভারতীয় আশ্রয় ও ট্রাভেল ডকুমেন্ট
বাংলাদেশের পদত্যাগী ও পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দেওয়ার পর তার জন্য ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ ইস্যু করার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবরে প্রশ্ন উঠেছে, ভারত যদি সত্যিই তাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশ কি তাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে?বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মতে, শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রদান করা হলে তা আটকানোর কোনো আইনি উপায় নেই।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যাসহ দুই শতাধিক মামলা হয়েছে, যা তাকে দেশে ফেরত চাওয়ার প্রেক্ষাপটকে জটিল করে তুলেছে।
প্রত্যর্পণ চুক্তি এবং ভারতের ভূমিকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, "ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সে অনুযায়ী, তারা শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য।" তবে এটি শুধুমাত্র তখনই কার্যকর হবে যখন আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে।এদিকে, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনা করলে, বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে কার্যকর নাও হতে পারে।
ভারত-বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি কী বলে?
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি অপরাধ করলে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তাকে প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে ফেরত চাওয়া যেতে পারে।এই চুক্তি অনুযায়ী হত্যা, নরহত্যা, বিস্ফোরক পদার্থের অপব্যবহার ইত্যাদি অপরাধকে রাজনৈতিক বলে গণ্য করার সুযোগ নেই।
সংশোধিত চুক্তির প্রভাব
২০১৬ সালে সংশোধিত চুক্তির ফলে বন্দি প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া আরো সহজ করা হয়েছে। সংশোধিত ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই অন্য দেশ অভিযুক্তকে ফেরত দিতে বাধ্য।তাজুল ইসলাম মনে করেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুত উদ্যোগ নেবে।
ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে?
তবে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলছেন, "ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সাথে আইনি প্রক্রিয়ার সমন্বয় ঘটলেই কেবল শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।"কূটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইনগত ভিত্তি থাকলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেরত চাওয়ার প্রক্রিয়া
শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়নি।বিশ্লেষকরা বলছেন, "প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনার আইনি উপায় থাকলেও বাংলাদেশ কেন এখনও কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।"
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম মনে করেন, আদালতের বিচারক নিয়োগ এবং ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
ট্রাভেল ডকুমেন্টের ভূমিকা
সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর আসে যে, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে। এই ডকুমেন্ট তাকে অন্য দেশে ভ্রমণের অনুমতি দেয়, যা রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দিয়েছে।চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হলে তিনি যেখানেই থাকেন, সেই দেশের সাথে চুক্তি থাকলে তাকে ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে।"
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় ভারতীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বড় ভূমিকা পালন করবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকা, রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা বিবেচনায় এই প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম শুরু করার পর এই প্রশ্নগুলির সমাধান হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
COMMENTS