ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, আশুলিয়া (ঢাকা)
চলমান শ্রমিক অসন্তোষের জেরে প্রায় ১০দিন ধরে চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো এলাকা পর্যন্ত অবস্থিত অন্তত ৭৯টি কারখানা আজ বন্ধ রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিএমইএ সূত্র থেকে জানা যায়, বেলা ১২টা পর্যন্ত তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী আজ এই অঞ্চলের অনন্ত, শারমীন, হামীম, স্টারলিং গ্রুপসহ ৬৮টি টি গ্রুপ/কোম্পানির কারখানা স্ব-বেতনে (লিভ ইউথ পে) বন্ধ আছে। যেসব কারখানা খোলা ছিল, তারমধ্যে ১৩টি গ্রুপ/কারখানার শ্রমিকরা আজ কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যান।
এছাড়া, খোলা থাকলেও শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভেতরে বিশৃঙ্খলা করছেন, এমন কারখানার সংখ্যা অন্তত ৮টি। এগুলো হলো- মন্ডল নিটওয়্যার, ন্যাচারাল ডেনিম, নিট কম্পোজিট, রেডিয়েন্স জিন্স, রেডিয়েন্স ফ্যাশন, গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ, ব্রেভো অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড।
শ্রমিকরা জানান, গতকাল রাতে কারখানাগুলোর মালিকপক্ষ আজ কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে ফটকে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। কিছু কারখানা আজ সকালে নোটিশ ঝুলিয়েছে। সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে বন্ধের নোটিশ পেয়ে কারখানা থেকে ফিরে আসেন।
অন্যদিকে শ্রমিকদের ‘যৌক্তিক’ দাবিকে আরও সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলছেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ গামের্ন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রর আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘শ্রমিকদের সাধারণ কিছু দাবি দাওয়ার প্রতি ‘আন্তরিকতার ঘাটতির’ কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে শিমুলতলা এলাকায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করছিলেন, তবে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ আজ পাওয়া যায়নি।’
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘অতীতে বেতন বাড়ানো বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন দেয়ার মতো বিষয়গুলো সামনে এলেও এবার নাইট বিল, টিফিল বিল কিংবা আরও বেশি পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের যে বিষয়গুলো আসছে সেটা সামষ্টিক না।’
ফলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবার পেছনে ‘রাজনৈতিক পট পরিবর্তন’ এবং ‘তৃতীয় পক্ষের’ ইন্ধনকেও কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
COMMENTS