গত কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে সরকার বদলে গেছে। কোলাজ: বিবিসি |
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রতিবেশী দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক সরকার পরিবর্তনের ঘটনা ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশে সরকারের পরিবর্তন, মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখবে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের কৌশলগত অবস্থান ও ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির ভবিষ্যৎ।
শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালদ্বীপেও সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মুহম্মদ মুইজ ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান তুলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ভারত-নেপাল সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিলেও অতীতের টানাপোড়েন থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়নি।
বীণা সিক্রির মতো কূটনীতিকেরা অবশ্য মনে করেন, ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি এখনও কার্যকর। বিশেষ করে মালদ্বীপে ভারতের কৌশলগত ধৈর্য এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটে ভারতের সহযোগিতা এই নীতির সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতের নীতি আরও নমনীয় ও বাস্তবমুখী হতে হবে।
ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ভারতের কৌশলগত অবস্থানের উপর। সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো ভারতের জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, তবে এই নীতির নমনীয়তা ও সক্ষমতা বজায় রাখার ওপরই নির্ভর করছে ভারতের প্রভাব।
সূত্র: বিবিসি নিউজ, দিল্লি
প্রতিবেশী দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক সরকার পরিবর্তনের ঘটনা ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশে সরকারের পরিবর্তন, মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখবে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের কৌশলগত অবস্থান ও ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির ভবিষ্যৎ।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুহম্মদ ইউনুসের বৈঠক ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের চিন্তিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলেও বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। শেখ হাসিনার সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী ছিল। তবে নতুন সরকার আসায় এই সম্পর্কের অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালদ্বীপেও সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মুহম্মদ মুইজ ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান তুলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ভারত-নেপাল সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিলেও অতীতের টানাপোড়েন থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়নি।
নেইবারহুড ফার্স্ট নীতির বাস্তবতা
নরেন্দ্র মোদীর ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বললেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই নীতির সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক সুহাসিনী হায়দারের মতে, ভারতের পররাষ্ট্রনীতি প্রতিবেশীদের প্রতি পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বড় শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টায় প্রতিবেশী দেশগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারত বিরোধী মনোভাব বাড়ছে।বীণা সিক্রির মতো কূটনীতিকেরা অবশ্য মনে করেন, ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি এখনও কার্যকর। বিশেষ করে মালদ্বীপে ভারতের কৌশলগত ধৈর্য এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটে ভারতের সহযোগিতা এই নীতির সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতের নীতি আরও নমনীয় ও বাস্তবমুখী হতে হবে।
ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। অধ্যাপক স্বর্ণ সিং বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিবর্তন ভারতের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এসব পরিবর্তন ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবু ভারতকে কৌশলগত ধৈর্য ও সংযম বজায় রেখে সম্পর্ক পরিচালনা করতে হবে।ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ভারতের কৌশলগত অবস্থানের উপর। সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো ভারতের জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, তবে এই নীতির নমনীয়তা ও সক্ষমতা বজায় রাখার ওপরই নির্ভর করছে ভারতের প্রভাব।
সূত্র: বিবিসি নিউজ, দিল্লি
COMMENTS