
জহির রায়হান
এনএনবি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ শহরের আমলাপাড়া আবাসিক এলাকার দখলমুক্ত করা শেরপুকুরটি সর্বসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য খননের দাবি জানিয়েছে জনউদ্যোগ ও এলাকাবাসী । আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই, ২০২৪) বিকেলে পুকুরপাড়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে তাঁরা এ দাবি জানান।
আজ বেলা তিনটায় মানববন্ধন শুরু হয়। এতে জনউদ্যোগের স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নেন। জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম (চুন্নু) বলেন, মাছ চাষের জন্য আলফাজ উদ্দিন বাচ্চু নামের একজন ইজারা নিয়ে পুকুরটি ভরাট করেন। সেটির শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্যও চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় আলফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু পরে একসনা লিজের নামে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম সেটি দখলে রেখেছিলেন। পরে পুকুরটি ভরাট হয়ে যায়।
সামাজিক সংগঠন জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমান জেলা প্রশাসক পুকুরটি দখলমুক্ত করেছেন। এতেই আমরা আনন্দিত। উচ্ছেদ করা পুকুরটি আগের চেয়ে গভীরভাবে খনন করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পুকুরের চারপাশে রাতের বেলা আলোর ব্যবস্থা থাকবে, বাচ্চারা সাঁতার কাটবে ও ভাসমান মানুষ গোসল করবে। এটি কোনো ভূমিদস্যুদের হাতে দেওয়া যাবে না।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক শিব্বির আহমেদ লিটন, সদস্য নুরুন নাহার, খন্দকার সুলতান আহমেদ, আইনজীবী আবুল কাশেম, মতিউর রহমান ফয়সাল, পান্না বেগম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন বেদখল থাকা পুকুরটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাস্তবে পুকুরটি ভরাট থাকায় সেখানে পুনরায় পুকুর খনন করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। তারপরও আমরা পুকুরটি খননের চেষ্টা করব।’
প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, সরকারের অর্পিত সম্পত্তিভুক্ত ২৫ শতকের জমিটি তিন দশক আগেও পুকুর ছিল। ১৯৮৪ সালে পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ব্যক্তি খাতে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আর মাছ চাষ হয়নি; বরং দিনের পর দিন পুকুরটি ময়লা-আবর্জনা ও মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। সর্বশেষ জমিটি ইজারা নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ শহরের ব্যবসায়ী মো. রেজাউল করিম। ২০১২ সালে একসনা ইজারাও বাতিল করা হয়। সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা চলায় স্থানীয় নাগরিক সংগঠন পুকুরটি উদ্ধারের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল।
গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে শেরপুকুরটি দখলমুক্ত করতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান পুলিশ ও খননযন্ত্র নিয়ে পুকুর শ্রেণির জমিতে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেন। ময়মনসিংহ টাউন মৌজার ৩১৭৯ ও ৩৫০২ দাগে ২৫ শতক জমিটি পুকুর শ্রেণি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পুকুর শ্রেণির জমিটিতে আজও দিনভর প্রশাসনের কার্যক্রম দেখা যায়। অবৈধ স্থাপনার পাশাপাশি গাছ-লতাপাতা কেটে পরিষ্কার করে গাড়িতে নিয়ে যায় প্রশাসন।
এনএনবি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ শহরের আমলাপাড়া আবাসিক এলাকার দখলমুক্ত করা শেরপুকুরটি সর্বসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য খননের দাবি জানিয়েছে জনউদ্যোগ ও এলাকাবাসী । আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই, ২০২৪) বিকেলে পুকুরপাড়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে তাঁরা এ দাবি জানান।
আজ বেলা তিনটায় মানববন্ধন শুরু হয়। এতে জনউদ্যোগের স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নেন। জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম (চুন্নু) বলেন, মাছ চাষের জন্য আলফাজ উদ্দিন বাচ্চু নামের একজন ইজারা নিয়ে পুকুরটি ভরাট করেন। সেটির শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্যও চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় আলফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু পরে একসনা লিজের নামে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম সেটি দখলে রেখেছিলেন। পরে পুকুরটি ভরাট হয়ে যায়।
সামাজিক সংগঠন জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমান জেলা প্রশাসক পুকুরটি দখলমুক্ত করেছেন। এতেই আমরা আনন্দিত। উচ্ছেদ করা পুকুরটি আগের চেয়ে গভীরভাবে খনন করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পুকুরের চারপাশে রাতের বেলা আলোর ব্যবস্থা থাকবে, বাচ্চারা সাঁতার কাটবে ও ভাসমান মানুষ গোসল করবে। এটি কোনো ভূমিদস্যুদের হাতে দেওয়া যাবে না।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক শিব্বির আহমেদ লিটন, সদস্য নুরুন নাহার, খন্দকার সুলতান আহমেদ, আইনজীবী আবুল কাশেম, মতিউর রহমান ফয়সাল, পান্না বেগম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন বেদখল থাকা পুকুরটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাস্তবে পুকুরটি ভরাট থাকায় সেখানে পুনরায় পুকুর খনন করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। তারপরও আমরা পুকুরটি খননের চেষ্টা করব।’
প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, সরকারের অর্পিত সম্পত্তিভুক্ত ২৫ শতকের জমিটি তিন দশক আগেও পুকুর ছিল। ১৯৮৪ সালে পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ব্যক্তি খাতে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আর মাছ চাষ হয়নি; বরং দিনের পর দিন পুকুরটি ময়লা-আবর্জনা ও মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। সর্বশেষ জমিটি ইজারা নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ শহরের ব্যবসায়ী মো. রেজাউল করিম। ২০১২ সালে একসনা ইজারাও বাতিল করা হয়। সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা চলায় স্থানীয় নাগরিক সংগঠন পুকুরটি উদ্ধারের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল।
গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে শেরপুকুরটি দখলমুক্ত করতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান পুলিশ ও খননযন্ত্র নিয়ে পুকুর শ্রেণির জমিতে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেন। ময়মনসিংহ টাউন মৌজার ৩১৭৯ ও ৩৫০২ দাগে ২৫ শতক জমিটি পুকুর শ্রেণি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পুকুর শ্রেণির জমিটিতে আজও দিনভর প্রশাসনের কার্যক্রম দেখা যায়। অবৈধ স্থাপনার পাশাপাশি গাছ-লতাপাতা কেটে পরিষ্কার করে গাড়িতে নিয়ে যায় প্রশাসন।
COMMENTS