
এনএনবি, গাজীপুর
গাজীপুরের একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে লিফট বিকল হয়ে আটকা পড়ে ছয় ছাত্রী। ২০-২২ মিনিট অবরুদ্ধ ছিল তারা। এতে লিফটে তিনজন ও উদ্ধারের পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে, ২০২৪) দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গাজীপুর শখিায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে পড়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, ‘স্কুল ছুটির পর পঞ্চমতলা থেকে লিফটে নিচে নামি। টিফিন খেয়ে এক্সট্রা ক্লাসের জন্য আবার ১২টা ৪২ মিনিটে পাঁচ সহপাঠীসহ আবার পঞ্চমতলায় যাওয়ার জন্য লিফটে উঠি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝামাঝি যাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফট আটকে যায়। এসময় লিফটের ভেতরে অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা চিৎকার শুরু করি। একপর্যায়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সঙ্গী তিনজন লিফটের ফ্লোরে বসে পড়ে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে। তখন দুপুর ১টার বেশি বাজছিল।’
ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘লিফট থেকে বের হওয়ার পর আমিও জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করা হয়। আটকে থাকার সময় শ্বাস নিতে এমন কষ্ট হয়েছে যে আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো মারা যেতাম।’
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো লিফটম্যান নেই। লিফটটিও আকারে খুবই ছোট। জেনারেটরটি ম্যানুয়াল। বিদ্যুৎ চলে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিকটবর্তী তলায় থামার ডিভাইস লিফটিতে বসানো নেই।
অভিভাবক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশের চেয়ে ব্যবসার দিকে মনোযোগ বেশি। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুপরিসর পরিবেশ, নিরাপত্তা, এবং অটো লিফট ও অটো জেনারেটরের ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানান।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে সায়লা ফারজানা বলেন, লিফটে স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস নেই। শিগগির লিফট পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবলু রহমান জানান, ছাত্রীরা লিফটে ওঠার ১-২ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তিনি জেনারেটরম্যানকে জেনারেটর চালু করতে বলেন। কিন্তু জেনারেটরটি চালু হচ্ছিল না। তিনি নিজেও চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি ইন্টারকমে আটকে পড়া ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভয় না পেতে আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, চাবি দিয়ে পাঁচতলা থেকে লিফটের দরজা খুলতে খুলতে একপর্যায়ে তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখতে পান লিফট দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝখানে আটকে রয়েছে। এসময় লিফট টেনে তৃতীয় তলায় নিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুরের একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে লিফট বিকল হয়ে আটকা পড়ে ছয় ছাত্রী। ২০-২২ মিনিট অবরুদ্ধ ছিল তারা। এতে লিফটে তিনজন ও উদ্ধারের পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে, ২০২৪) দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গাজীপুর শখিায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে পড়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, ‘স্কুল ছুটির পর পঞ্চমতলা থেকে লিফটে নিচে নামি। টিফিন খেয়ে এক্সট্রা ক্লাসের জন্য আবার ১২টা ৪২ মিনিটে পাঁচ সহপাঠীসহ আবার পঞ্চমতলায় যাওয়ার জন্য লিফটে উঠি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝামাঝি যাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফট আটকে যায়। এসময় লিফটের ভেতরে অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা চিৎকার শুরু করি। একপর্যায়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সঙ্গী তিনজন লিফটের ফ্লোরে বসে পড়ে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে। তখন দুপুর ১টার বেশি বাজছিল।’
ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘লিফট থেকে বের হওয়ার পর আমিও জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করা হয়। আটকে থাকার সময় শ্বাস নিতে এমন কষ্ট হয়েছে যে আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো মারা যেতাম।’
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো লিফটম্যান নেই। লিফটটিও আকারে খুবই ছোট। জেনারেটরটি ম্যানুয়াল। বিদ্যুৎ চলে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিকটবর্তী তলায় থামার ডিভাইস লিফটিতে বসানো নেই।
অভিভাবক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশের চেয়ে ব্যবসার দিকে মনোযোগ বেশি। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুপরিসর পরিবেশ, নিরাপত্তা, এবং অটো লিফট ও অটো জেনারেটরের ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানান।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে সায়লা ফারজানা বলেন, লিফটে স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস নেই। শিগগির লিফট পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবলু রহমান জানান, ছাত্রীরা লিফটে ওঠার ১-২ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তিনি জেনারেটরম্যানকে জেনারেটর চালু করতে বলেন। কিন্তু জেনারেটরটি চালু হচ্ছিল না। তিনি নিজেও চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি ইন্টারকমে আটকে পড়া ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভয় না পেতে আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, চাবি দিয়ে পাঁচতলা থেকে লিফটের দরজা খুলতে খুলতে একপর্যায়ে তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখতে পান লিফট দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝখানে আটকে রয়েছে। এসময় লিফট টেনে তৃতীয় তলায় নিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হয়।
COMMENTS