![]() |
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ (পলক)। ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, নাটোর
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ (পলক)। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেনকে আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) শুক্রবার সকালে দেখতে গিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
জানা গেছে, এদিন সকালে বিমানে করে রাজশাহী বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রতিমন্ত্রী। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান। তিনি প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন, তার দুই ভাই ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১টায় ফিরেছি। তবে বিদেশে থেকেও ঘটনার সব সময় খোঁজখবর নিয়েছি। আমি ভাবতেও পারিনি নাটোরের মাটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে। এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার খোঁজখবর রাখছেন। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে। কেউ ছাড়া পাবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, লুৎফুল হাবীব আমার আত্মীয় তা অস্বীকার করব না। তবে আত্মীয়তার সুবাদে বা রাজনৈতিক কারণে তিনি বা অন্য কেউ বাড়তি সুবিধা পাবেন না। বরং এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা এমপি–মন্ত্রীর স্বজনদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা দলের পক্ষ থেকেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত: গত সোমবার বিকালে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে কালো রঙের মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবের ঘনিষ্টরা। গাড়ির ভেতর তাকে মারধর করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর সিংড়ার সাঐল গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলা যায় তারা। ওই দিন রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবীড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রার্থীর ভাই মুজাহিদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে সেই রাতেই গ্রেপ্তার করে।
COMMENTS