![]() |
ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিল রুহুল জলমহালটি ইজারাদারদের সরেজমিনে দখল বুঝিয়ে দেন। |
এনএনবি, পাবনা
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিল রুহুল নামে একটি জলমহাল বৈধভাবে পাওয়া ইজারাদারদের সরকারিভাবে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার পরও বিলটি অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল, ২০২৪) দুপুরে উপজেলার বিল রুহুল জলমহালটি চলতি বছরের নতুন ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মধুরগাতি পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বুঝিয়ে দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী।
ইজারা পাওয়া মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, আমরা আপনাদের সরেজমিনে বুঝিয়ে দিলে গেলাম। এখন থেকে এই বিলের দায়িত্ব আপনাদের। বিলে অবৈধভাবে বসানো জালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আপনাদের মতো করে সরিয়ে ফেলতে পারবেন। বিলে অবৈধভাবে অন্য কেউ দখল নিতে চাইলে আপনারা অভিযোগ দিলে; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি টিএস কেস নং ৪৮ বিল রুহুলের বদ্ধ জলমহল ১৪৩১-১৪৩৬ বাংলা সনের হিসেবে আগামী ৬ বছরের জন্য ইজারা পায় মধুরগাতি পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যায় আগের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ পাটুলীপাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জলমহালের ইজারা মূল্য ও ভ্যাট পরিশোধ করে ইজারা পাওয়া মৎস্যজীবী প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত পহেলা বৈশাখের মধ্যে জলমহালটি বৈধভাবে প্রাপ্তদের মাঝে লিখিতভাবে দখলনামা দিয়ে বুঝিয়ে দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী।
কিন্তু সরেজমিনে জলমহালটি দখলে নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইজারাদাররা। তাদের নানারকম হুমকি-ধামকি দেন আগের ইজারাদাররা। এরপর আজ বৃহস্পতিবার নতুন ইজারাদারদের জলমহালটি সরেজমিনে বুঝিয়ে দেন ভাঙ্গুড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পরপরই আগের ইজারাদাররা আবারও বিলটি অবৈধভাবে দখলে নিতে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
ইজারা পাওয়া মধুরগাতি পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, আমরা বৈধভাবে সরকারিভাবে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু আগের বছরের ইজারা পাওয়া দক্ষিণ পাটুলীপাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের লোকজন কোনোভাবেই দখল ছাড়ছিল না। তারা শতশত অবৈধ দুয়ারি জাল ফেলে দখল করে রেখেছিল। আমরা ডিসি ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করলে ভাঙ্গুড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজ আমাদের সরেজমিন বিলটি বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আগের ইজারাদাররা বিলটি আবারও অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা করছে। তারা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দক্ষিণ পাটুলীপাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ, মাছ ধরেই খাই; তারা ধনী মানুষ। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা ইজারা পেয়েছো ভালো কথা। আমাদের কাছে বিক্রি করে দাও। কিন্তু তারা আমাদের কাছে বিক্রি করছে না। আমরা উপযুক্ত দাম দিয়েই কিনতে চাইছি। তারা বিভিন্ন বিল ডাকে (নিলাম) আর পরে বিক্রি করে দেয়। তাহলে আমাদের কাছে বিক্রি করলে সমস্যা কী?
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি জানি না, কিন্তু শুনেছি। আজকে নাকি ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গিয়ে নতুন ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আগের পক্ষ নাকি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে হুমকি-ধামকির বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিল রুহুল নামে একটি জলমহাল বৈধভাবে পাওয়া ইজারাদারদের সরকারিভাবে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার পরও বিলটি অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল, ২০২৪) দুপুরে উপজেলার বিল রুহুল জলমহালটি চলতি বছরের নতুন ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মধুরগাতি পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বুঝিয়ে দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী।
ইজারা পাওয়া মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, আমরা আপনাদের সরেজমিনে বুঝিয়ে দিলে গেলাম। এখন থেকে এই বিলের দায়িত্ব আপনাদের। বিলে অবৈধভাবে বসানো জালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আপনাদের মতো করে সরিয়ে ফেলতে পারবেন। বিলে অবৈধভাবে অন্য কেউ দখল নিতে চাইলে আপনারা অভিযোগ দিলে; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি টিএস কেস নং ৪৮ বিল রুহুলের বদ্ধ জলমহল ১৪৩১-১৪৩৬ বাংলা সনের হিসেবে আগামী ৬ বছরের জন্য ইজারা পায় মধুরগাতি পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যায় আগের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ পাটুলীপাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জলমহালের ইজারা মূল্য ও ভ্যাট পরিশোধ করে ইজারা পাওয়া মৎস্যজীবী প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত পহেলা বৈশাখের মধ্যে জলমহালটি বৈধভাবে প্রাপ্তদের মাঝে লিখিতভাবে দখলনামা দিয়ে বুঝিয়ে দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী।
কিন্তু সরেজমিনে জলমহালটি দখলে নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইজারাদাররা। তাদের নানারকম হুমকি-ধামকি দেন আগের ইজারাদাররা। এরপর আজ বৃহস্পতিবার নতুন ইজারাদারদের জলমহালটি সরেজমিনে বুঝিয়ে দেন ভাঙ্গুড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পরপরই আগের ইজারাদাররা আবারও বিলটি অবৈধভাবে দখলে নিতে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
ইজারা পাওয়া মধুরগাতি পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, আমরা বৈধভাবে সরকারিভাবে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু আগের বছরের ইজারা পাওয়া দক্ষিণ পাটুলীপাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের লোকজন কোনোভাবেই দখল ছাড়ছিল না। তারা শতশত অবৈধ দুয়ারি জাল ফেলে দখল করে রেখেছিল। আমরা ডিসি ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করলে ভাঙ্গুড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজ আমাদের সরেজমিন বিলটি বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আগের ইজারাদাররা বিলটি আবারও অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা করছে। তারা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দক্ষিণ পাটুলীপাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ, মাছ ধরেই খাই; তারা ধনী মানুষ। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা ইজারা পেয়েছো ভালো কথা। আমাদের কাছে বিক্রি করে দাও। কিন্তু তারা আমাদের কাছে বিক্রি করছে না। আমরা উপযুক্ত দাম দিয়েই কিনতে চাইছি। তারা বিভিন্ন বিল ডাকে (নিলাম) আর পরে বিক্রি করে দেয়। তাহলে আমাদের কাছে বিক্রি করলে সমস্যা কী?
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি জানি না, কিন্তু শুনেছি। আজকে নাকি ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গিয়ে নতুন ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আগের পক্ষ নাকি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে হুমকি-ধামকির বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
COMMENTS