![]() |
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের নির্ভেজাল ভালোবাসা, ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন এমপি শফিকুর রহমান। |
এনএনবি, ঢাকা
পুনর্নির্বাচিত সংসদ সদস্য চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে বর্ণাট্য
সংবর্ধনায় বরণ করে নিয়েছেন সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী সাংবাদিকরা।
বুধবার ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা,
প্রথিতযশা সাংবাদিক, এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এমপি মুহম্মদ শফিকুর
রহমানকে সংবর্ধনার বর্ণিল আয়োজন রূপ নেয় উৎসবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংবাদ সংস্থা এনএনবি’র প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের
সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন
সিদ্দিক শফিকুর রহমান এমপিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে
মানপত্র তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শত শত সাংবাদিকের এই ভালোবাসা পেয়ে আবেগঘন কণ্ঠে মুহম্মদ
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এতিম। বাবাকে দেখিনি। চাচারা আমাকে বড় করেছেন। আমার
দ্বিতীয় গৃহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে শত শত সাংবাদিকদের এই ভালোবাসা আমাকে আরো বেশি
ঋণী করে তুলেছে। মানুষের সেবায় কাজ করতে আরো প্রেরণা জোগাবে।’
সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পত্রিকায় কাজ করেছি এই
কারণে, মনে হয়েছে কলম দিয়ে কিছু মানুষের সেবা করতে পারব। সংসদে গিয়েছি, কারণ সেই
জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের মানুষের কথা বলতে পারব, রাজাকারের বিরুদ্ধে বলতে পারব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ‘আমি প্রেস ক্লাবে কম আসি।
শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে এসেছি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী
মানুষ চলে যাচ্ছে। যারা আছেন এমন মানুষের মধ্যে শফিকুর রহমান একজন।’
অনুষ্ঠানে এমপি শফিকুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ
সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও তার সহধর্মিণী সঞ্চিতা দত্ত। এ সময়
শ্যামল দত্ত বলেন, ‘শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের অভিভাবক। তিনি একটু বেশি সৎ, বেশি
ঠোঁটকাটা (স্পষ্টবাদী)। সত্যকে সত্য বলার সাহস খুব কম মানুষের আছে। সেই বিরল
মানুষের মধ্যে একজন হলেন সাংবাদিক সমাজের শফিকুর রহমান এমপি।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন,
‘আজকের এই অনুষ্ঠান উৎসবে পরিণত হয়েছে, সাংবাদিকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। কারণ
তার চেহারায় বিদ্রোহের প্রেরণা পাওয়া যায়। সত্যকে ধারণ করে দৃঢ় পায়ে হেঁটে যেতে
পারে এমন বিরল মানুষ শফিকুর রহমান।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান এমপিকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানায় মুক্তিযোদ্ধা
সাংবাদিক কমান্ড, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি,
চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, বৃহত্তর কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা সাংবাদিক
পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড, বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম, টাঙ্গাইল জেলা
সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল, চাঁদপুর জার্নালিস্টস ফোরাম, কুড়িগ্রাম
সাংবাদিক সমিতি প্রমুখ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো
বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য আফজাল এইচ খান, বাংলাদেশ
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের
সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, কাজী রফিক, আকতার হোসেন, শফিকুল
কবির সাবু, সাজ্জাদ আলম খান তপু, আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।
চাঁদপুর-৪ আসনে ২০০১ সালে প্রথম ভোটযুদ্ধে নামেন প্রথিতযশা সাংবাদিক মুহম্মদ
শফিকুর রহমান। প্রথমবার চক্রান্তের কাছে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালে আবারও তাকেই
পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেবার অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে হারেন তিনি, কিন্তু দমে যাননি। দশম জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে মনোনয়ন না পেলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা তাকে বেছে নেন সৎ
এবং যোগ্য প্রার্থী হিসেবে। সেবার তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
সেই বিজয় অটুট থাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও। আবারো এমপি হলেন মুহম্মদ
শফিকুর রহমান। তাঁর জয়ে সাংবাদিক সমাজ আনন্দিত। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তাঁকে জাতীয়
প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
COMMENTS