![]() |
নীতিমালাটি জারি হলে বাংলাদেশে আর গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। ছবি: ফ্রিপিক |
মাতৃগর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ রোধে একটি নতুন নীতিমালা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৪) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই নীতিমালাটি দাখিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি, গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণের পরীক্ষা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসানের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলের পর নীতিমালাটি করা হয়।
‘ন্যাশনাল গাইডলাইন রিগারডিং প্যারেন্টাল জেন্ডার সিলেকশন ইন বাংলাদেশ’ নামে নীতিমালাটিতে বলা হয়েছে:
- কোনও ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবরেটরি কোনও লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনও উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না।
- এ বিষয়ে কোনরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না।
- সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো ডাক্তার, নার্স, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, টেকনিশিয়ান কর্মীদের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেবে এবং নৈতিকতা ও পেশাগত আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
- হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মেডিক্যাল সেন্টারগুলো এ সংক্রান্ত সব ধরনের টেস্টের তথ্য সংরক্ষণ রাখবে; এবং
- হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মেডিক্যাল সেন্টারগুলো ডিজিটাল ও প্রিন্ট মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা এবং কন্যাশিশুর গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন বার্তা প্রচার করবে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আদালত এ নীতিমালার ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি, ২০২৪) দিন ধার্য করেছেন।
COMMENTS