![]() |
গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |
জুলীয়াস চৌধুরী
এনএনবি, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ সোমবার (জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ৮ বার নির্বাচন করেছি, এবার আবার। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবারের মতো এত আগ্রহ জনগণের মধ্যে দেখিনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়কে তিনি জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করে বলেন, 'এ জয় আমার নয়। আমি মনে করি- এটি জনগণের বিজয়।'
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে দেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জনগণের উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের অর্থনৈতিক বিকাশ, আরও উন্নত জীবনমান ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হয়ে গেছে, এখনো গেজেট হয়নি। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সম্পূর্ণ ফলাফল এলে গেজেট হবে। তখনই শপথ হবে। এরপর আমাদের সংসদীয় দলের বৈঠক করতে হবে। সেখানে সংসদীয় দলের নেতা কে হবে, সেটা নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সেটা নির্বাচিত করবেন। মেজরিটি পার্টি যাঁকে নির্বাচিত করবেন, তিনিই হবেন সংসদীয় দলের নেতা। তখন সরকার গঠন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে, সরকার গঠন হবে। এটাই সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সে অনুসারে করতে চাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বিদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনটা যে অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারটা আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে, শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধী দলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা আপনার সরকারের সমালোচনা করছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই না যে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছেন কি না। আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ সোমবার (জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ৮ বার নির্বাচন করেছি, এবার আবার। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবারের মতো এত আগ্রহ জনগণের মধ্যে দেখিনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়কে তিনি জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করে বলেন, 'এ জয় আমার নয়। আমি মনে করি- এটি জনগণের বিজয়।'
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে দেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জনগণের উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের অর্থনৈতিক বিকাশ, আরও উন্নত জীবনমান ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হয়ে গেছে, এখনো গেজেট হয়নি। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সম্পূর্ণ ফলাফল এলে গেজেট হবে। তখনই শপথ হবে। এরপর আমাদের সংসদীয় দলের বৈঠক করতে হবে। সেখানে সংসদীয় দলের নেতা কে হবে, সেটা নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সেটা নির্বাচিত করবেন। মেজরিটি পার্টি যাঁকে নির্বাচিত করবেন, তিনিই হবেন সংসদীয় দলের নেতা। তখন সরকার গঠন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে, সরকার গঠন হবে। এটাই সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সে অনুসারে করতে চাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বিদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনটা যে অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারটা আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে, শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধী দলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা আপনার সরকারের সমালোচনা করছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই না যে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছেন কি না। আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।’
বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন এবং অর্ধেকের কম ভোট পড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি এখানে গণতন্ত্রের আর কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন। মানুষের অংশগ্রহণই বড় কথা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মানুষকে এ নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেননি।
প্রধানমন্ত্রী বিবিসির সাংবাদিককে পাল্টা বলেন, বিএনপি কত মানুষ মেরেছে, সে প্রশ্ন তিনি করেননি। তারা ২০১৪-১৫ সালে যা করেছে, তাতে তাদের কীভাবে গণতান্ত্রিক দল বলা যায়? তারা সন্ত্রাসী দল এবং মানুষ তাদের সমর্থন করে না।
ভারতের টেলিগ্রাফের সাংবাদিক দেভাদ্বীপ পুরোহিতের প্রশ্ন ছিল, ‘নির্বাচন শেষ হয়েছে। আপনি যখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখন আপনার বিরোধী দলের প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনি কী ভাবছেন?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি কি চান আমি একটি বিরোধী দল গঠন করি? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দল গঠন করেছি। বিরোধীদেরও তা করতে হবে। আপনি যদি তা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার জন্য কে দায়ী?’
এ সময় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুলসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS