এনএনবি নিউজ
স্বরাষ্ট্রন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজামন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও সব মন্ডপে র্যাব, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সারাদেশের মন্ডপগুলোতে পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এবার সব মন্ডপে আনসার স্থায়ীভাবে থাকবে। আমরা বলেছি, প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভি থাকতেই হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও তৎপর থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী, এটা পুলিশ হতে পারে আনসার হতে পারে, যেখানে যেটা প্রয়োজন, সেভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে। তাদের যেন আর্মড ব্র্যান্ড থাকে এটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যাতে করে আমরা বুঝতে পারি কারা স্বেচ্ছাসেবক। বড় মন্ডপে নিরাপত্তা বাহিনী টহলে থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, এবার সব মন্ডপেই আনসার স্থায়ীভাবে থাকবে। মন্ডপ কর্তৃপক্ষ তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন।
আসাদুজ্জামান খান এসময় উল্লেখ করেন, আগামি ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে। সারা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মন্ডপে পূজা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার এক হাজারের বেশি মন্ডপে পূজা উদ্যাপিত হচ্ছে।
তিনি জানান, পূজাকে কেন্দ্র করে গুজব ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুজবের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সমস্যা হলে ৯৯৯ এ কল দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার গুজব রোধে এগুলো মনিটরিং করা হবে। কেউ এ ধরনের অপচেষ্টা করলে কঠোর অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। প্রতি মন্ডপে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা পথ রাখতে হবে। এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সকল পূজা মন্ডপে জুয়া ও মাদক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুস্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজান ও নামাজের সময় শব্দের ব্যবহার সহনীয় থাকবে। তিনি আজান ও নামাজের সময় মসজিদের পাশ্ববর্তী পূজামন্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন এবং বিসর্জনের সময় শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখারও অনুরোধ জানান।
এই সভায়, পুজা চলার সময়ে মন্ডপে আসা নারী এবং শিশুদের ইভটিজিং ও মাদক সেবন বা যে কোনো অনাকাঙিক্ষত ঘটনা রোধে মন্ডপ কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি
মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
COMMENTS