![]() |
অবৈধ এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন এস এম ইকবাল হোসেন। মঞ্চে উপবিষ্ট রয়েছেন আমজাদ খান, তারেক রহমান জাহাঙ্গীর ও তাদের সহযোগীরা। |
সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ও প্রভাবকে ব্যবহার করে গাজীপুরের একদল দুষ্কৃতিকারী সাংবাদিক ডেসটিনির মতো কিন্তু অনলাইন ভিত্তিক এমএলএম বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ব্যবসা চালু করে কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে বলে তথ্য প্রমাণ সহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই ২০২৫) সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা গাজীপুর মিডিয়া সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা জানান, গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আমজাদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি-১ এস এম ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি-১ হাজি কামাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান জাহাঙ্গীর, সদস্য গোলাম রসুল দিনার গং macvz.com ডোমেইনে Mistral AI নামে ও kiaix.com ডোমেইনে KumoAI নামে ওয়েব অ্যাপ চালু করে গাজীপুরসহ সারাদেশে এমএলএম বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করেন।
সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এবং মোটা অংকের লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তারা সহজেই তাদের সহকর্মী সাংবাদিকদের এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করান। বিনিয়োগের কয়েক দিনের মধ্যে লাভ পেতে শুরু করলে এবার বিনিয়োগকারীদের লালসা বেড়ে যায়। শতকরা ১৫ ভাগ রেফারেল বোনাস আয় করার লোভে আগে বিনিয়োগকারী সাংবাদিকরা তাদের অন্যান্য সহকর্মী সাংবাদিক ও অসংখ্য সাধারণ মানুষদের ওই নিষিদ্ধ এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করাতে থাকেন।
![]() |
গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝেই রয়েছেন প্রতারক সাংবাদিকরা। |
প্রতারক সাংবাদিকরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অসংখ্য ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে নগদ টাকাও সংগ্রহ করেন।
অপরদিকে আমজাদ হোসেন ও তারেক রহমান জাহাঙ্গীর সিন্ডিকেট দেশব্যাপি দালাল নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে ওই অবৈধ এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করিয়ে হাতিয়ে নেন কয়েক হাজার কোটি টাকা।
প্রতারক সাংবাদিকরা নতুন নতুন মানুষদের ওই অবৈধ এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিতে সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এবং মোটা অংকের লাভের প্রলোভন দেখিয়ে দেশব্যাপি বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে সভা-সেমিনার করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুন ২০২৫ জয়দেবপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকার কোর্টইয়ার্ড গার্ডেন ক্যাফেতে একটি জমকালো সেমিনার করে। ওই সেমিনারের অসংখ্য ছবি ও ভিডিয়ো এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ওই প্রতারকরা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে সেখানে প্রচার ও সমন্বয় করে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন।
এমতাবস্থায়, যখন বিনিয়োগকারিরা কোটি কোটি টাকা প্রাপ্তির লালসায় বিভোর, তখন (সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫) নিষিদ্ধ এমএলএম ব্যবসার তৃতীয় মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান জাহাঙ্গীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘোষণা দেন যে ‘তাদের সিস্টেম হ্যাক হয়েছে’। বিনিয়োগকারিরা বলেন, প্রতারক সাংবাদিকরা টাকা নিয়েছেন নিরাপদ মাধ্যমে। এই সিস্টেম হ্যাক হওয়ার সুযোগ নেই।
এর পর পরই বিনিয়োগকারিরা রাগে-ক্ষোভে ফুঁসে উঠে গ্রুপে ক্ষোভ ঝেড়ে পোস্ট করতে থাকেন। তাতে মালিক পক্ষ কোন সাড়া না দিলে বিনিয়োগকারীদের মনে টাকা ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে বিনিয়োগকারীরা গাজীপুর মিডিয়া সেন্টারে এসে অভিযোগ করেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ২০২৫) তারেক রহমান জাহাঙ্গীর নতুন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে পুরনো বিনিয়োগকারীদের যুক্ত করে ওই গ্রুপে বিনিয়োগকারীদের kiaix.com ডোমেইনে KumoAI নামে একটি নতুন ওয়েব অ্যাপে নতুন করে বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেখিয়ে আলাদাভাবে টেক্সট এবং ভয়েস মেসেজ পোস্ট করেন।
অপরদিকে আমজাদ হোসেন ও তারেক রহমান জাহাঙ্গীর সিন্ডিকেট দেশব্যাপি দালাল নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে ওই অবৈধ এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করিয়ে হাতিয়ে নেন কয়েক হাজার কোটি টাকা।
প্রতারক সাংবাদিকরা নতুন নতুন মানুষদের ওই অবৈধ এমএলএম ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিতে সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এবং মোটা অংকের লাভের প্রলোভন দেখিয়ে দেশব্যাপি বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে সভা-সেমিনার করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুন ২০২৫ জয়দেবপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকার কোর্টইয়ার্ড গার্ডেন ক্যাফেতে একটি জমকালো সেমিনার করে। ওই সেমিনারের অসংখ্য ছবি ও ভিডিয়ো এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ওই প্রতারকরা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে সেখানে প্রচার ও সমন্বয় করে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন।
এমতাবস্থায়, যখন বিনিয়োগকারিরা কোটি কোটি টাকা প্রাপ্তির লালসায় বিভোর, তখন (সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫) নিষিদ্ধ এমএলএম ব্যবসার তৃতীয় মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান জাহাঙ্গীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘোষণা দেন যে ‘তাদের সিস্টেম হ্যাক হয়েছে’। বিনিয়োগকারিরা বলেন, প্রতারক সাংবাদিকরা টাকা নিয়েছেন নিরাপদ মাধ্যমে। এই সিস্টেম হ্যাক হওয়ার সুযোগ নেই।
এর পর পরই বিনিয়োগকারিরা রাগে-ক্ষোভে ফুঁসে উঠে গ্রুপে ক্ষোভ ঝেড়ে পোস্ট করতে থাকেন। তাতে মালিক পক্ষ কোন সাড়া না দিলে বিনিয়োগকারীদের মনে টাকা ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে বিনিয়োগকারীরা গাজীপুর মিডিয়া সেন্টারে এসে অভিযোগ করেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ২০২৫) তারেক রহমান জাহাঙ্গীর নতুন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে পুরনো বিনিয়োগকারীদের যুক্ত করে ওই গ্রুপে বিনিয়োগকারীদের kiaix.com ডোমেইনে KumoAI নামে একটি নতুন ওয়েব অ্যাপে নতুন করে বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেখিয়ে আলাদাভাবে টেক্সট এবং ভয়েস মেসেজ পোস্ট করেন।
![]() |
ঢাকার অভিজাত লে মেরিডিয়ান হোটেলে সেমিনার করার জন্য বুকিং শেষে হোটেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারেক রহমান জাহাঙ্গীর ও এস এম ইকবাল হোসেনের ফটোশেসন। |
বিনিয়োগকারীদের উপর এর প্রভাব ছিল গুরুতর। অনেকে তাদের জীবনের সঞ্চয় হারিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একজন বিনিয়োগকারী সাংবাদিক বলেন, "আমি তাদের প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে আমার সম্পূর্ণ অবসর তহবিল বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমার কাছে কিছুই নেই।" এই ধরনের ঘটনা শুধু আর্থিক ক্ষতিই করে না, বরং সাংবাদিকতা পেশার সুনামকেও ক্ষুণ্ন করে, গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস করে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে প্রত্যেক এমএলএম ব্যবসায়িকে ফোন করা হলে তারা সকলেই একে অপরকে দোষারোপ করেন।
নিষিদ্ধ এমএলএম চক্রের অন্যতম হোতা আমজাদ খান, মামলা না করার শর্তে কয়েকজন বিনিয়োগকারী সাংবাদিককে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীদের সাথে আমজাদ খানের কথোপকথনের কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং অ্যাক্টিভিটিস (কন্ট্রোল) অ্যাক্ট অনুযায়ী, এমএলএম ব্যবসার জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন, এবং পিরামিড স্কিম নিষিদ্ধ। এই অ্যাক্ট অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা বা জালিয়াতির জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া, প্রতারণার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে প্রত্যেক এমএলএম ব্যবসায়িকে ফোন করা হলে তারা সকলেই একে অপরকে দোষারোপ করেন।
নিষিদ্ধ এমএলএম চক্রের অন্যতম হোতা আমজাদ খান, মামলা না করার শর্তে কয়েকজন বিনিয়োগকারী সাংবাদিককে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীদের সাথে আমজাদ খানের কথোপকথনের কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং অ্যাক্টিভিটিস (কন্ট্রোল) অ্যাক্ট অনুযায়ী, এমএলএম ব্যবসার জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন, এবং পিরামিড স্কিম নিষিদ্ধ। এই অ্যাক্ট অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা বা জালিয়াতির জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া, প্রতারণার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান রয়েছে।
ভিডিওতে দেখুন প্রতারক সাংবাদিকদের সেমিনার ...
COMMENTS