আব্দুর রউফ ভুঁইয়া, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সেচ প্রকল্পের নামে সোয়া পাঁচ লাখ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল। নোটিশ দিয়েও সাড়া পায়নি কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
সুত্র জানায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের বিদ্যুৎ চালিত 'কাস্তুল ভাতশালা বৃহত্তর সেচ প্রকল্পটি, গত বোরো মৌসুমে পরিচালনা করেন কাস্তুল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ম. সাজন উদ্দিন।
তিনি বোরো মৌসুম শেষে সেচ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক মিটার (৫টি হিসাব) সংযোগ সাময়িক বিছিন্নের আবেদন করেন। এসময়, হাওরে পানি উঠার কারণে, মিঠামইন (পবিস) জোনাল অফিস ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮ টাকা বিল বকেয়া রেখে সেচ প্রকল্পের সংযোগ বিছিন্ন করে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (মিঠামইন জোনাল) সুত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ম. সাজন উদ্দিন বৃহত্তর কাস্তুল ভাতশালা সেচ প্রকল্পের নামে জামানতসহ বিল পরিশোধের পরও সোয়া পাঁচ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তাকে বার বার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ দিলেও বিল পরিশোধ করছেন না।
কৃষকরা তাদের সেচ খরচ (বিল) পরিশোধ করলেও সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার সাজন উদ্দিন বিদ্যুৎ বিল অপরিশোধিত রাখায় আগামী বোরো মৌসুমে কৃষক ও সেচ প্রকল্প পরিচালনাকারীদের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিঠামইন জোনাল অফিসের ডিজিএম (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নূরুল আমিন বলেন, আমি মাত্র ৩/৪ দিন হলো বদলি হয়ে এসেছি। বিষয়টি সন্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিল বকেয়ার ব্যাপারে সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার আলীগ নেতা এম সাজন উদ্দীন বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে সত্য। আমরা খুব দ্রুত বিল পরিশোধ করে দেব।এছাড়াও মাঠে কৃষকদের কাছে আমাদেরও ১৬ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
COMMENTS