জহির রায়হান
এনএনবি, ময়মনসিংহ
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিনের বৈষম্যের শিকার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা তাঁদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন কর্মসূচি জোরালোভাবে চলেছে। সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দাবি করছেন, ১৯৯৪ সালের একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে তাঁদেরকে ২য় শ্রেণির পদমর্যাদার অধিকার দেয়া হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। এই আন্দোলনকে ঘিরে সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন এবং কারিগরি শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর, ২০২৪) সকাল থেকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এই কর্মসূচি চলে ১ থেকে ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বৈষম্য বিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত সার্ভে ইঞ্জিনিয়াররা অংশ নেন।
নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, নদী-খাল খনন, ব্রীজ ও বাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করলেও তাঁদের ন্যায্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ১৯৯৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ম গ্রেড বেতন স্কেলে রাখা কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তাঁদেরকে ১৪/১৫/১৬ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক।
নেতারা আরও বলেন, ২০১৮ সালের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইনে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বা সমতূল্য পদে নিয়োগ দেয়ার সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সেই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। প্রযুক্তি নির্ভর এই সময়ে যেখানে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে, সেখানে সরকারের এমন উদাসীনতা হতাশাজনক।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, নিয়মিত আবেদন ও তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। ৩ অক্টোবরের মধ্যে ১০ম গ্রেডের বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। সারাদেশের অন্যান্য জেলার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র তাঁদের অধিকার আদায়ের লড়াই নয়, বরং এটি কারিগরি শিক্ষার মূল্যায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার বৃহত্তর প্রয়াস। সরকারের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই ইঞ্জিনিয়ারদের মর্যাদা নিশ্চিত করা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন: সেলিম হাসান (ভালুকা), মতিউর রহমান (সদর), শহীদুল ইসলাম (এল.এ শাখা), সুদেব কুমার মন্ডল (সেটেলমেন্ট বিভাগ), জহিরুল ইসলাম (মুক্তাগাছা), আরশেদুল ইসলাম (ফুলপুর), হুমায়ুন কবির খান (ফুলবাড়ীয়া), মামুন হোসেন (ত্রিশাল), মহিউদ্দিন আহাম্মদ (গৌরীপুর), মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (এল.এ শাখা). নজরুল ইসলাম (এলজিইডি), আজহারুল ইসলাম (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা), সারোয়ার আলম (বাপাউবো), আশরাফুল ইসলাম (বাপাউবো), জাহিদুল ইসলাম ফয়সাল (এলজিইডি), নাজমুল হোসাইন (এলজিইডি), ফিরোজ হোসেন (জেলা পরিষদ), হায়দার আলী (গফরগাঁও), ফয়সাল (ত্রিশাল), বেলাল হোসাইন (বাপাউবো), রেজাউল ইসলাম (সুপারিশপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার), আকাঈদুল ইসলাম (তারাকান্দা) প্রমুখ।
এনএনবি, ময়মনসিংহ
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিনের বৈষম্যের শিকার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা তাঁদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন কর্মসূচি জোরালোভাবে চলেছে। সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দাবি করছেন, ১৯৯৪ সালের একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে তাঁদেরকে ২য় শ্রেণির পদমর্যাদার অধিকার দেয়া হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। এই আন্দোলনকে ঘিরে সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন এবং কারিগরি শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর, ২০২৪) সকাল থেকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এই কর্মসূচি চলে ১ থেকে ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বৈষম্য বিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত সার্ভে ইঞ্জিনিয়াররা অংশ নেন।
নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, নদী-খাল খনন, ব্রীজ ও বাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করলেও তাঁদের ন্যায্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ১৯৯৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ম গ্রেড বেতন স্কেলে রাখা কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তাঁদেরকে ১৪/১৫/১৬ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক।
নেতারা আরও বলেন, ২০১৮ সালের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইনে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বা সমতূল্য পদে নিয়োগ দেয়ার সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সেই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। প্রযুক্তি নির্ভর এই সময়ে যেখানে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে, সেখানে সরকারের এমন উদাসীনতা হতাশাজনক।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, নিয়মিত আবেদন ও তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। ৩ অক্টোবরের মধ্যে ১০ম গ্রেডের বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। সারাদেশের অন্যান্য জেলার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র তাঁদের অধিকার আদায়ের লড়াই নয়, বরং এটি কারিগরি শিক্ষার মূল্যায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার বৃহত্তর প্রয়াস। সরকারের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই ইঞ্জিনিয়ারদের মর্যাদা নিশ্চিত করা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন: সেলিম হাসান (ভালুকা), মতিউর রহমান (সদর), শহীদুল ইসলাম (এল.এ শাখা), সুদেব কুমার মন্ডল (সেটেলমেন্ট বিভাগ), জহিরুল ইসলাম (মুক্তাগাছা), আরশেদুল ইসলাম (ফুলপুর), হুমায়ুন কবির খান (ফুলবাড়ীয়া), মামুন হোসেন (ত্রিশাল), মহিউদ্দিন আহাম্মদ (গৌরীপুর), মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (এল.এ শাখা). নজরুল ইসলাম (এলজিইডি), আজহারুল ইসলাম (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা), সারোয়ার আলম (বাপাউবো), আশরাফুল ইসলাম (বাপাউবো), জাহিদুল ইসলাম ফয়সাল (এলজিইডি), নাজমুল হোসাইন (এলজিইডি), ফিরোজ হোসেন (জেলা পরিষদ), হায়দার আলী (গফরগাঁও), ফয়সাল (ত্রিশাল), বেলাল হোসাইন (বাপাউবো), রেজাউল ইসলাম (সুপারিশপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার), আকাঈদুল ইসলাম (তারাকান্দা) প্রমুখ।
COMMENTS