গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ, সেনা সদস্যসহ আহত ১০, অস্ত্র ছিনতাই

আহত সেনা সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

এনএনবি, গোপালগঞ্জ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে এবং দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

আজ ১০ আগস্ট ২০২৪ বিকেল ৩টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে গোপীনাথপুর, জালালাবাদ ও নিজাম কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়। জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সেনাবাহিনী রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। 

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এসময় বিক্ষোভকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও কয়েকটি পরিবহন ভাঙচুর করে এবং সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় চারজন সেনা সদস্যসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মো. আকিকুর রহমান রুশাদ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় সেনাবাহিনীর একটি স্টেনগান ও গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন। পরে এক পুলিশ সদস্য সেটি উদ্ধার করে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল হক লাচ্চুর কাছে জমা দেন। সেনাবাহিনীকে খবর দিলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার শরিফ পাড়া পেট্রল পাম্পের সামনে থেকে কর্নেল সাফায়েতের কাছে অস্ত্রটি হস্তান্তর করা হয়। 

গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল হক লাচ্চু বলেন, ‘বিক্ষোভের সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি অস্ত্র রেখে দেয় তাঁরা। বিষয়টি জানতে পেরে সেখান থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিলে সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

একই দাবিতে একই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয় গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা চন্দ্রদিঘলীয়া ও বিজয়পাশা বাসস্ট্যান্ডে। এ ছাড়াও বিক্ষোভ করেছে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গোলচত্বর ও মুকসুদপুর উপজেলার পুরোনো মুকসুদপুর এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।