![]() |
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। |
এনএনবি, ঢাকা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর কম হলে পার্শবর্তী বিদ্যালয়ের
সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ, ২০২৪) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব
ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব বিদ্যালয়ে ৫০ জনের কম
শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের
প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব
স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া
হবে।’
বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে
শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত-আট। পাঁচ-ছয় বছর ধরে সাত-আটজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে। এ
রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা আছে ৩০০-এর
কাছাকাছি। সেগুলোকে একীভূত করে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাঙামাটির বিলাইছড়ির একটা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র
৪২ জন। বিগত কয়েক বছর ধরেই ৪২ জন। ওই বিদ্যালয় আমরা একীভূত করব না। কারণ ওই ৪২
জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আসে। সুতরাং এসব ভেবে আমরা
বিবেচনায় নেব।’
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘যে বিদ্যালয়গুলোয় ৫-১০ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলোকে আমরা
একীভূত করে দেব। যে বিদ্যালয়গুলোর চাহিদা আছে, সে বিদ্যালয়গুলোয় যা যা সুবিধা
দেয়া দরকার, আমরা সেগুলো দেব। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও জানান নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত
শিক্ষার্থীদের অ্যাপসের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। থাকছে না প্রথম ও
দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে একটি অ্যাপস
তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারে এ জন্য এনসিটিবি
অ্যাপসটি তৈরি করেছে।
সচিব বলেন, ‘মূল কথা হলো প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক, দ্বিতীয়
সাময়িক- এসব আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম
অনুযায়ী থাকবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।’
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন
শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। নতুন করে এই
শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম।
এরই আলোকে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাস্তবায়ন হবে নতুন শিক্ষাক্রম।
COMMENTS