 |
| সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে পরিচিত বৃষ্টি খাতুন। ছবি : সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন বা অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর সঠিক পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার
সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।
রবিবার (১০ মার্চ, ২০২৪) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের
(সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক ( ডিআইজি) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনায় নিহত হন বৃষ্টি। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামেই
পরিচিত ছিলেন। তবে কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে
অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম আসলে বৃষ্টি খাতুন।
বৃষ্টি মুসলিম পরিবারের সন্তান হলেও অভিশ্রুতি নামে মন্দিরে পূজা-অর্চনায়
নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন, এমনকি তার জীবনবৃত্তান্তেও তিনি নিজেকে সনাতন
ধর্মাবলম্বীর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুর পর তার পিতা মরদেহ গ্রহণ করতে আসার
পর নামের বিভ্রান্তির কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পুলিশ অভিশ্রুতির নাম
বৃষ্টি খাতুন নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়। তবে ওই রাতেই রমনা কালী
মন্দিরের কর্তৃপক্ষের তীব্র আপত্তির কারণে বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর স্থগিত রাখা
হয়। এতে করে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর নেওয়া হয় ডিএনএ
নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ
মিলেছে।
অপরদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে থাকা ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসানের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল। নজরুল ইন্ডাস্ট্রিজের
(পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, ‘বৃষ্টি ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ
পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। গতকাল শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে।’
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন,
‘মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনো আমাদের জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয় তবে
অবশ্যই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান,
‘মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনো তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।’
COMMENTS