
এনএনবি, গাজীপুর
রাজধানী সংলগ্ন টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এটি তাবলিগ জামাতের বার্ষিক বৈশ্বিক সমাবেশ। মুসল্লিদের ঢল নেমেছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। ইতোমধ্যে ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। শীত ও বৃষ্টিসহ নানা ভোগান্তি উপেক্ষা দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) ফজর নামাজের পর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এর মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব তিন দিনের ইজতেমার প্রথম পর্ব। এটি আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।
ইজতেমা ময়দানে ৯১টি খিত্তায় জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় হাজারো মুসল্লি রাস্তার পাশে জায়গা নিয়েছেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুরো ময়দানে প্রায় ৩০০ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন ।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলার পাশাপাশি উর্দু ও হিন্দি ভাষায় বয়ান করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা তরজমাও উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সৌদি আরব, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এক হাজারেরও অধিক মুসুল্লি এসেছেন। ইজতেমায় আগত এসব বিদেশি মুসল্লিরা বাংলাদেশের আয়োজনে খুশি। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগত মুসুল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক পদক্ষেপ। কয়েক হাজার পুলিশ, সাদা পোশাক পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আকাশপথে হেলিকপ্টার টহল, ডগ স্কোয়াড টিম, ফুট প্যাট্রলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, নৌ টহল, সাইবার মনিটরিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে মুসুল্লিদের নিরবচ্ছিন্ন বিদুৎ, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টয়লেট। গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে মশা নিরাবরণের প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, রয়েছে সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক। মুসুল্লিদের সহজে পারাপারের জন্য তুরাগ নদের ওপর বিআইডব্লিউটিএ ও সেনাবাহিনী তৈরি করেছে ৬টি ভাসমান সেতু।
বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এ পর্বের নেতৃত্ব দেবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ২০১৮ সালের বিরোধের পর দুই পক্ষ ২০১৯ ও ২০২০ সালে আলাদাভাবে ইজতেমা করে। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল এই জমায়েত।
সাধারণত তাবলিগ জামাতের অংশগ্রহণকারীরা সর্বনিম্ন তিন দিন আল্লাহর পথে কাটানোর নিয়ত বা মনোবাঞ্ছা পোষণ করেন। সে হিসাবেই প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় তিনদিন জুড়ে। সাধারণত প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার আমবয়ান ও বাদ জুমা থেকে বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি বছরই এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশ্ব ইজতেমা প্রতিবছর দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয় কাকরাইল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং তিনদিন করে আলাদা সময়ে মোট ছয়দিন এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।কিন্তু এতে করেও ব্যাপক মুসল্লিদের ঢল থাকায় ২০১৬ থেকে ৩২ টি জেলা নির্বাচন করে ইজতেমার কার্যক্রম অবিরত রাখা হয় । বাকি ৩২ জেলাদের ইজতেমা পরবর্তী বছর ধার্য করা হয় । সমাবেশ আ'ম বয়ান বা উন্মুক্ত বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয় এবং আখেরি মোনাজাত বা সমাপণী প্রার্থণার মাধ্যমে শেষ হয়। অনেক সাধারণ মুসলমান তিনদিন ইজতেমায় ব্যয় করেন না, বরং শুধু জুমা'র নামাজে অংশগ্রহণ করেন কিংবা আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন; তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন আখেরি মোনাজাতে। বাংলাদেশ সরকারের সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী), রাষ্ট্রপ্রধান (রাষ্ট্রপতি), বিরোধী দলীয় নেতাসহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা আখেরি মোনাজাতে আলাদা-আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করেন।
রাজধানী সংলগ্ন টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এটি তাবলিগ জামাতের বার্ষিক বৈশ্বিক সমাবেশ। মুসল্লিদের ঢল নেমেছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। ইতোমধ্যে ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। শীত ও বৃষ্টিসহ নানা ভোগান্তি উপেক্ষা দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) ফজর নামাজের পর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এর মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব তিন দিনের ইজতেমার প্রথম পর্ব। এটি আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।
ইজতেমা ময়দানে ৯১টি খিত্তায় জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় হাজারো মুসল্লি রাস্তার পাশে জায়গা নিয়েছেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুরো ময়দানে প্রায় ৩০০ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন ।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলার পাশাপাশি উর্দু ও হিন্দি ভাষায় বয়ান করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা তরজমাও উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সৌদি আরব, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এক হাজারেরও অধিক মুসুল্লি এসেছেন। ইজতেমায় আগত এসব বিদেশি মুসল্লিরা বাংলাদেশের আয়োজনে খুশি। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগত মুসুল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক পদক্ষেপ। কয়েক হাজার পুলিশ, সাদা পোশাক পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আকাশপথে হেলিকপ্টার টহল, ডগ স্কোয়াড টিম, ফুট প্যাট্রলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, নৌ টহল, সাইবার মনিটরিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে মুসুল্লিদের নিরবচ্ছিন্ন বিদুৎ, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টয়লেট। গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে মশা নিরাবরণের প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, রয়েছে সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক। মুসুল্লিদের সহজে পারাপারের জন্য তুরাগ নদের ওপর বিআইডব্লিউটিএ ও সেনাবাহিনী তৈরি করেছে ৬টি ভাসমান সেতু।
বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এ পর্বের নেতৃত্ব দেবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ২০১৮ সালের বিরোধের পর দুই পক্ষ ২০১৯ ও ২০২০ সালে আলাদাভাবে ইজতেমা করে। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল এই জমায়েত।
বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার রমনা পার্ক সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজি ক্যাম্পে ইজতেমা হয়, ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তানের সাথে অনেক আলেমদের একাত্মতা থাকায় ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে রমনা উদ্যানের স্থলে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ওই বছর স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়ায় ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমান অবধি ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলিগি দ্বীনদার মুসলমান জামাতসহ ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভি [রহ.] ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় ইসলামী দাওয়াত তথা তাবলিগের প্রবর্তন করেন এবং একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমারও আয়োজন করেন। বাংলাদেশে ১৯৫০-এর দশকে তাবলিগ জামাতের প্রচলন করেন মাওলানা আবদুল আজিজ। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এই সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়।তারিখ নির্ধারণ
পুরো সমাবেশস্থলটি একটি উন্মুক্ত মাঠ, যা বাঁশের খুঁটির উপর চট লাগিয়ে ছাউনি দিয়ে সমাবেশের জন্য প্রস্তুত করা হয়। শুধুমাত্র বিদেশী মেহমানদের জন্য টিনের ছাউনি ও টিনের বেড়ার ব্যবস্থা করা হয়। সমাবেশস্থলটি প্রথমে খিত্তা ও পরে খুঁটি নম্বর দিয়ে ভাগ করা হয়। অংশগ্রহণকারীগণ খিত্তা নম্বর ও খুঁটি নম্বর দিয়ে নিজেদের অবস্থান শনাক্ত করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলাওয়ারি মাঠের বিভিন্ন অংশ ভাগ করা থাকে। বিদেশি মেহমানদের জন্য আলাদা নিরাপত্তাবেষ্টনীসমৃদ্ধ এলাকা থাকে, সেখানে স্বেচ্ছাসেবকরাই কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, কোনো সশস্ত্র বাহিনীর অনুপ্রবেশের অধিকার দেয়া হয় না।সাধারণত তাবলিগ জামাতের অংশগ্রহণকারীরা সর্বনিম্ন তিন দিন আল্লাহর পথে কাটানোর নিয়ত বা মনোবাঞ্ছা পোষণ করেন। সে হিসাবেই প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় তিনদিন জুড়ে। সাধারণত প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার আমবয়ান ও বাদ জুমা থেকে বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি বছরই এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশ্ব ইজতেমা প্রতিবছর দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয় কাকরাইল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং তিনদিন করে আলাদা সময়ে মোট ছয়দিন এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।কিন্তু এতে করেও ব্যাপক মুসল্লিদের ঢল থাকায় ২০১৬ থেকে ৩২ টি জেলা নির্বাচন করে ইজতেমার কার্যক্রম অবিরত রাখা হয় । বাকি ৩২ জেলাদের ইজতেমা পরবর্তী বছর ধার্য করা হয় । সমাবেশ আ'ম বয়ান বা উন্মুক্ত বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয় এবং আখেরি মোনাজাত বা সমাপণী প্রার্থণার মাধ্যমে শেষ হয়। অনেক সাধারণ মুসলমান তিনদিন ইজতেমায় ব্যয় করেন না, বরং শুধু জুমা'র নামাজে অংশগ্রহণ করেন কিংবা আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন; তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন আখেরি মোনাজাতে। বাংলাদেশ সরকারের সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী), রাষ্ট্রপ্রধান (রাষ্ট্রপতি), বিরোধী দলীয় নেতাসহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা আখেরি মোনাজাতে আলাদা-আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করেন।
COMMENTS