
এনএনবি, ঢাকা
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে না পারা কেন ব্যর্থতা বলে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।
রোববার (২৮ জানুয়ারি ২০২৪) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাণিজ্য সচিব ও কৃষি সচিবকে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কৃষিপণ্যের উৎপাদনস্থলে কেন বাজার ব্যবস্থাপনা করা হবে না- তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দৈনিকে যুগান্তরে ‘আলুর কেজি এক লাফে বাড়ল ১৫ টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে রিট করেন মনোজ কুমার ভৌমিক।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সবার ধারণা ছিল নির্বাচনের আগে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি সরকার সহনীয় রাখবে। দ্রব্যমূল্যের ওপর লাগাম টানবে। ডিমের দাম কমানোর মধ্য দিয়ে সে ধরনের আলামতও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে, ডিমের বাজারের ওপর কয়েকদিন নিয়ন্ত্রণ থাকলেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
আর অন্যান্য পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগের কথা শোনা যায়নি। এমন এক বাস্তবতায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও কারসাজি করে বাড়াচ্ছে সব পণ্যের দাম। গত সাত দিনের হিসাবও উলটে গেছে। হঠাৎ কেন আলু ও ডিমের দাম বাড়ল- এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার ক্রেতাকে প্রতিকেজি আলু কিনতে হয় ৭৫ টাকায়। সাত দিন আগে ছিল ৬০-৬৫ টাকা। ঢাকার বাইরেও প্রায় একই চিত্র। অন্যদিকে সরবরাহ ঠিক থাকলেও হালিপ্রতি (৪ পিস) ডিমের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলেও ভারত রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে পণ্যটি এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার যেন আর শেষ নেই।
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে না পারা কেন ব্যর্থতা বলে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।
রোববার (২৮ জানুয়ারি ২০২৪) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাণিজ্য সচিব ও কৃষি সচিবকে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কৃষিপণ্যের উৎপাদনস্থলে কেন বাজার ব্যবস্থাপনা করা হবে না- তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দৈনিকে যুগান্তরে ‘আলুর কেজি এক লাফে বাড়ল ১৫ টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে রিট করেন মনোজ কুমার ভৌমিক।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সবার ধারণা ছিল নির্বাচনের আগে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি সরকার সহনীয় রাখবে। দ্রব্যমূল্যের ওপর লাগাম টানবে। ডিমের দাম কমানোর মধ্য দিয়ে সে ধরনের আলামতও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে, ডিমের বাজারের ওপর কয়েকদিন নিয়ন্ত্রণ থাকলেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
আর অন্যান্য পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগের কথা শোনা যায়নি। এমন এক বাস্তবতায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও কারসাজি করে বাড়াচ্ছে সব পণ্যের দাম। গত সাত দিনের হিসাবও উলটে গেছে। হঠাৎ কেন আলু ও ডিমের দাম বাড়ল- এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার ক্রেতাকে প্রতিকেজি আলু কিনতে হয় ৭৫ টাকায়। সাত দিন আগে ছিল ৬০-৬৫ টাকা। ঢাকার বাইরেও প্রায় একই চিত্র। অন্যদিকে সরবরাহ ঠিক থাকলেও হালিপ্রতি (৪ পিস) ডিমের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলেও ভারত রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে পণ্যটি এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার যেন আর শেষ নেই।
COMMENTS